Newsun24

Most Popular Newsportal

বিনোদন

শিক্ষিকা সাহেলা থেকে অভিনেত্রী সাহেলা হওয়ার গল্প

বিনোদন ডেস্ক

নিউসান টোয়েন্টিফোর ডটকম

মোঃ হামজা শেখ

বর্তমান সময়ে নাটকে ও সিনেমার দর্শকের কাছে খুব জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী সাহেলা আক্তার।সাহেলা আক্তার নরসিংদীর মনোহরদী থানার সল্লাবাঈদ গ্রামের রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে। সাহেলার বাবা ফকির মাজহারুল ইসলাম ও মা রাবেয়া ইসলাম। পাঁচ ভাইয়ের একমাত্র বোন তিনি সাহেলা আক্তার সাধারনত নাটকে সিনেমায় মায়ের চরিত্রেই অভিনয় করেন। সে অভিনয় জগৎ আসেন ২০০৯ সালে।

তার আগে তিনি রাজধানীর হলিচাইল্ড পাবলিক স্কুল আ্যন্ড কলেজে শিক্ষক ( গণিত বিষয় ) হিসেবে চাকরি শুরু করেন। ২০০৯ সালে মনির হোসেন জীবনের পরিচালনায় সাহেলা প্রথম নাটকে অভিনয় করেন।নাটকের নাম ছিল ‘ভবের মানুষ’। তার পর থেকেই মুলত সে নিয়মিত অভিনয় করতেন। মনির হোসেন জীবন ছাড়া অভিনয় জীবনের শুরুতে তিনি সাদেক সিদ্দিকী, শবনম পারভীনসহ আরও অনেক পরিচালকের সাথে নাটক ও টেলিফ্লিমে কাজ করেছি, সেলিম রেজার পরিচালনায় স্বপ্নের সাথী, ও সেয়ানা জামাই একটি টেলিফিল্মে অভিনয় করেছি।

২০১০ সালে মনির হোসেন জীবনের পরিচালনায় ধারাবাহিক নাটক “গুনিন” অভিনয়ের জন্য একটানা ১৪ দিন সুটিং করতে হয় সাহেলার। ১৪ দিন সুটিং শেষ করে সে তার স্কুলে গেলে জানতে পারে তার চাকরি নেই। জীবনে প্রথম টানা পাঁচদিন শুটিং করে তিনি ৫০১ টাকা পেয়েছিলেন। তারপর থেকেই সাহেলা আক্তার মুলত অভিনয়ে মনোযোগী হয়,এবং আস্তে আস্তে এটাকেই পেশা হিসেবে নেন।

সাহেলা আক্তারের বর্তমান অবস্থানে সন্তুষ্ট, এবং সে আরো বলেন তবে এটা সত্য আমার আজকের যে অবস্থান তার নেপথ্যে মনির হোসেন জীবন ভাইয়ের অবদানই বড়। তার প্রতি আমি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব। কারণ তিনি সুযোগ না দিলে আমার স্বপ্ন পূরণ হতো না। আরও ধন্যবাদ আমাকে নিয়ে যারা নিয়মিত নাটক নির্মাণ করেন। দর্শকের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা, তারা আমার অভিনীত নাটক দেখে আমাকে অনুপ্রাণিত করেন। সবার কাছে দোয়া চাই যেন আরও ভালো ভালো গল্পের নাটকে অভিনয় করতে পারি।

সাহেলা আক্তারএখন পর্যন্ত প্রায় এক হাজার নাটকে অভিনয় করেছেন। তার অভিনয়ে প্রিয় নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘এই শহরটা আমার জন্য না’, ‘চন্দ্রাবতী’,‘ কারাতে বউ’, ধারাবাহিক নাটক ‘বউ শাশুড়ি’, ‘রঙের ভালোবাসা’, ‘সেয়ানা জামাই’, সাত পর্বের ধারাবাহিক ‘প্রতিবেশীর ভালোবাসা’ ইত্যাদি। এছাড়াও কিছুদিন আগে সেলিম রেজার পরিচালনায় “এক্স লাভ” নামের একটি ওয়েব ফিল্মে কাজ করেছে।

LEAVE A RESPONSE

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!