Newsun24

Most Popular Newsportal

রাজবাড়ী

বাঁচতে চান বিরল রোগে আক্রান্ত তরুণ কবি উৎপল সরকার

বিরল রোগে আক্রান্ত রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার তরুণ কবি উৎপল সরকার। দিনের পর দিন তার হাত-পা বাঁকা হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে তার জন্য সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন যাপন কঠিন হয়ে উঠছে। রাজধানীর বারী-ইলিজারভ অর্থোপেডিক সেন্টারে ডা. মো. মোফাখখারুল বারীর অধীনে প্রাথমিক চিকিৎসা নিলেও বর্তমানে তার অবস্থা ভালো নেই।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দ্রæত সার্জারী করতে না পারলে বড় ধরনের সমস্যায় পড়বেন এই তরুণ কবি। কারণ বয়স বাড়ার সাথে সাথে তার হাত-পা আরো বেশি বাঁকা হচ্ছে।

উৎপল সরকার জানিয়েছেন, বারী-ইলিজারভ অর্থোপেডিক সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। সেখানকার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সার্জারী করে তাকে সুস্থ করা সম্ভব হবে এবং এতে ব্যয় হবে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা। তবে এই টাকা আমার পরিবারের পক্ষে কোনোভাবেই জোগাড় করা সম্ভব হচ্ছে না।

ছাত্র জীবন থেকেই শিল্প সাহিত্যের সাথে যুক্ত কবি উৎপল সরকার। তবে ৯-১০ বছর বয়স হতেই দুরারোগ্য রোগে বিকলাঙ্গ হয়ে পড়েন এই তরুণ, আজও প‚র্ণ নিরাময় হয়নি। প্রচÐ দারিদ্রতা ও শারীরিক অসুস্থ অবস্থায় তিনি রাজবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে ¯œাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। বাল্যকাল থেকেই তার কাব্য প্রতিভার বিকাশ ঘটে। পান্থপিদিম সাংস্কৃতিক সংগঠনের পৃষ্ঠপোষকতায় কিশোর বয়সে ‘প্রদীপ রাজি’ ও ‘সত্যের ডাক’ নামে তার দুইটি কবিতা পত্র প্রকাশিত হয়। অধ্যাপক মুন্সি আকবর আলীর সম্পাদনায় যৌথ কাব্যগ্রন্থ কবিতা মঞ্জুরীতে তার কবিতা স্থান পায় ও তার সম্পাদনায় ‘সাহিত্য মজলিস’ মাসিক সাহিত্য পত্রিকায় কবি নিয়মিত কবিতা লিখতেন।

এছাড়াও পাংশা বার্তা, উল্টো পথ, মুক্ত বিহঙ্গ, কাশফুল ইত্যাদি পত্র পত্রপত্রিকায় তার নিয়মিত লেখা ছাপা হতো। তার বাড়ী কালুখালী উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামে। বর্তমানে তিনি পাংশা একটা ভাড়া বাড়িতে বাবা উত্তম সরকার ও মা শান্তনা রানী সরকার এর সাথে বসবাস করেন। পেশা হিসেবে পাংশা শহরের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের ইংরেজি শিক্ষাদান করছেন। বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ তার অসংখ্য শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। তিনি এই শিক্ষাদানের পাশাপাশি রাজবাড়ী জেলাধীন পাংশা থানা শহরে নিজ উদ্যোগে তরুণদের নিয়ে ‘বহুবচন’ ও ‘বোহেমিয়ান’ নামক দুটি থিয়েটার প্রতিষ্ঠা করেন। শিল্প সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি তিনি পাংশা উপজেলা প্রেসক্লাবের সক্রিয় একজন সদস্য। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে তার বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে তার হাত-পা আরো বেশি বাঁকা হচ্ছে।

বিত্তবানদের উদ্দেশে এই তরুণ কবি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ১২ লাখ টাকা অনেকের জন্য হয়তো খুব বেশী নয়। কিন্তু আমার মত নিম্নবিত্ত পরিবারের কাছে এটি পাহাড়সম। এত টাকা আমার এবং দরিদ্র পিতার পক্ষে বহন করা অসম্ভব। তাই বাধ্য হয়ে দেশের বিবেকবান মানুষের কাছে সাহায্য কামনা করছি। সোনালী ব্যাংক পাংশা শাখা, একাউন্ট নং: ২২১০৩০১০১১৪৩৯ বিকাশ নাম্বার :(পার্সোনাল ) ০১৭১০৮৫৫৪৯৫ নগদ নাম্বার : (পার্সোনাল) ০১৭১০৮৫৫৪৯৫।

LEAVE A RESPONSE

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!