Newsun24

Most Popular Newsportal

জাতীয় সারাদেশ

কুষ্টিয়ায় বাবার স্বপ্ন পূরনের জন্য যুবকের ৭ বিয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক (কুষ্টিয়া):

একটি, দুটি কিংবা তিনটি নয়, সাতটি বিয়ে করেছেন, কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় রবিজুল ইসলাম (৩৯) নামে এক যুবক। সাত বউকে নিয়ে সুখের সংসার তার। স্ত্রীরা মিলেমিশে থাকছেন একই বাড়িতে। বাবার মানত পূরণ করতেই সাতটি বিয়ে করেন তিনি।

রবিজুল ইসলাম কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ী ইউনিয়নের পাটিকাবাড়ী গ্রামের মিয়াপাড়ার আয়নাল হোসেনের ছেলে। তিনি ১৫ বছর লিবিয়াতে ছিলেন। দুই বছর আগে আসেন দেশে। লিবিয়াতে যাওয়ার আগে ১৯৯৯ সালে পারিবারিকভাবে করেন প্রথম বিয়ে। এরপর কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা লিবিয়া প্রবাসী হেলেনাকে ২ বিয়ে করেন ৷ তারপর দুই বছর আগে দেশে এসে একের পর এক আরও পাঁচজনকে বিয়ে করেন রবিজুল।

তার স্ত্রীরা হলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হালসা গ্রামের রুবিনা খাতুন (৩৫), একই উপজেলার গোস্বামী দুর্গাপুর এলাকার মিতা আক্তার (২৫), কিশোরগঞ্জের হেলেনা খাতুন (৩০), রাজশাহীর চাপাই এলাকার নুরুন নাহার (২৫), চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার শ্রীরামপুর এলাকার স্বপ্না (৩০), একই উপজেলার ডম্বল পুর এলাকার বানু আক্তার (৩৫) ও কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ এলাকার রিতা আক্তার (২০)।

রবিজুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি মা-বাবার একমাত্র ছেলে। আমার একটা সমস্যা ছিল। সেজন্য আমার বাবা মানত করেছিলেন, ‘ছেলে বেঁচে থাকলে তাকে সাতটি বিয়ে দিবেন’। তাই বাবার সেই মানত পূরণ করতে আমি সাতটি বিয়ে করেছি। এতে আমি, আমার পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয়রা সবাই খুশি। সাতটি বউ-ই খুব ভালো। স্ত্রীদের পরস্পরের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয় না। সাত স্ত্রী ও ৫ সন্তান নিয়ে সুখের সংসার আমার। সব স্ত্রীরা আমার আদর যত্ন নেন এবং খুব ভালোবাসেন। সারাদিন সবাই একসঙ্গে কাজ করেন। সপ্তাহের সাত রাতে সাত বউয়ের কাছে থাকি। এতে কোনো সমস্যা হয় না। তিনি আরও বলেন, আমি ১৫ বছর লিবিয়াতে ছিলাম। গত দুই বছর আগে দেশে এসেছি। বর্তমানে আমার একটি ড্রাইভিং শেখার সেন্টার আছে। এ ছাড়া কয়েকটি মাইক্রোবাস রয়েছে। আমি এখন ড্রাইভিং শেখায়।

জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে রুবিনাকে বিয়ে করেন রবিজুল ইসলাম। এই দম্পত্তির দুই ছেলে রয়েছে। এরপর লিবিয়ায় থাকা অবস্থায় ২০১৪ সালে হেলেনাকে বিয়ে করেন। এ স্ত্রীর ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ে। করোনার সময় ২০২০ সালে নুরুন নাহারকে বিয়ে করেন। তার এক মেয়ে আছে। ২০২২ সালে বিয়ে করেন স্বপ্নাকে। তিন মাস আগে বানুকে, আড়াই মাস আগে রিতাকে এবং দুই মাস আগে মিতাকে বিয়ে করেন। সব বিয়েই করেন সম্পর্ক ও পারিবারিকভাবে।

স্থানীয়রা বলেন, রবিজুল ইসলাম সাতটি বিয়ে করেছেন। সাত বউ নিয়ে একই বাড়িতে বসবাস করেন। সাত বউ মিলেমিশে সংসার করে। এলাকার মানুষ তাদের বাড়িতে বেড়াতে যায়। তারা ভালোই আছে।

তার স্ত্রীরা বলেন, আমরা সাত বোনের মতো। আমরা সারাদিন মিলেমিশে সংসারের কাজ করি। সবার সঙ্গেই সবার ভালো সম্পর্ক। বোনের মতো এক বাড়িতে বসবাস করি। কেউ কাউকে হিংসা করি না। কে কম কাজ করল বা বেশি করল, তা নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো সমস্যা হয় না। আমরা জেনে শুনেই বিয়ে করেছি। আমাদের স্বামী এমন কিছু করেন না যাতে আমাদের মন খারাপ হবে। স্বামী খুবই ভালো মানুষ। আমরা যেন ভালোভাবে একসাথে থাকতে পারি সবাই আমাদের জন্য সেই দোয়া করবেন।

LEAVE A RESPONSE

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!