Newsun24

Most Popular Newsportal

রাজবাড়ী

পাংশায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ভুল সংবাদ প্রকাশের জেরে শিক্ষকদের সংবাদ সম্মেলন

পাংশা প্রতিনিধি।

রাজবাড়ীর পাংশা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ক্যাপ্টেন মোঃ ইয়ামিন আলীর বিরুদ্ধে একটি জাতীয় দৈনিকে “প্রভাষকের ভাতিজার বিয়েতে অধ্যক্ষের দরদী আদেশ” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে কলেজ শিক্ষক পরিষদ। মঙ্গলবার (৩১শে অক্টোবর) বেলা সাড়ে বারোটার সময় কলেজের কনফারেন্স রুমে শিক্ষক পরিষদের ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে তারা। এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) শিব শংকর চক্রবর্তী। বক্তব্যে তিনি বলেন, কলেজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মরহুম গওহার উদ্দিন সাহেবের জ্যেষ্ঠপুত্র সাবেক গোয়ালন্দ মহকুমা মুজিব বাহিনীর প্রধান প্রয়াত মঞ্জুর মোর্শেদ সাচ্চুর কনিষ্ঠপুত্রের বিবাহে কলেজ পরিবারকে দাওয়াত প্রদান করে।

রেওয়াজ অনুযারী দাওয়াতে উপস্থিতির বিষয়ে গত (২৩ অক্টোবর) শিক্ষক- কর্মচারীদের সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সিদ্ধান্তটি কোনভাবেই অধ্যক্ষ মহোদয়ের চাপিয়ে দেয়া নয়। অভিযোগকারী নুশরাত হাছনীন ইতোপূর্বেও সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর হোসনেয়ারা খানের কার্যকালে তাঁর পৌত্রের আকিকা অনুষ্ঠানে কলেজের সমস্ত শিক্ষক- কর্মচারী অংশ নিলেও তিনি কোন ধরনের অংশ নেননি।

 

সংবাদে অধ্যক্ষ মহোদয়কে জড়িয়ে কিছু মনগড়া ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে, যা পাংশা সরকারি কলেজের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে। ভর্তিতে এ কলেজে পরিপত্রের বাইরে কোন অর্থগ্রহণের সুযোগ নেই। বর্তমান অধ্যক্ষের যোগদানের পর হতে ই-পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে ভর্তি ফরম পূরণসহ যাবতীয় আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন হয়। ডিজিটাল অ্যান্টেডেন্স সিস্টেম চালু, পুরো ক্যাম্পাস ও শ্রেণি: কক্ষ সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ, ডিবেটিং ক্লাব ও ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব দ্বানুসহ পরিপত্রের বাইরে সমস্ত ধরনের অর্থ আদায় বন্ধ করেছেন। ডরমেটরিতে অধ্যক্ষ মহোদয়ের বসবাসের জন্য একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অধ্যক্ষ মহোদয় সরকারি কোষাগারে প্রতিমাসে। অর্থ জমা করে থাকেন। ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের সাথে অধ্যক্ষ কোনভাবেই যুক্ত নন।

অভিযোগকারী নুশরাত হাছনীন পাংশা উপজেলার জামারাতে ইসলামীর সাবেক আমীর জনাব মুরছালিন ক্যাকাউস এর পুত্রবধূ। তিনি কলেজের ক্রয় কমিটির আহবায়ক হিসাবে কলেজের যাবতীয় ক্রয় সম্পন্ন করেন। রাসায়নিক দ্রব্যাদি তিনি নিজে ক্রয় করে স্টক রেজিস্ট্রারে এন্টি করে সমুদয় মালামাল বুঝে পেলাম মর্মে স্বাক্ষর করে অধ্যক্ষের নিকট পেশ করেছেন, যা অফিস নথিতে দৃশ্যমান। উল্লেখ্য, নুশরাত হাছনীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনকালে ব্যাপক আর্থিক অনিয়ম করেছেন। তাঁর এই অপকর্ম ঢাকতে নতুন পদায়নকৃত অধ্যক্ষ প্রফেসর ক্যাপ্টেন মোঃ ইয়ামিন আলীর বিরুদ্ধে তিনি নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। ইতোমধ্যেই অধ্যক্ষের ডরমেটরিতে ২ বার বোমা হামলা হয়েছে। এই হামলার সঙ্গে নুশরাত হাছনীন এর সম্পৃক্ততা নিয়ে পাংশার সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে গুঞ্জন রয়েছে।

বর্তমান অধ্যক্ষ যোগদানের পর থেকে কলেজের সামগ্রিক উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। সকাল ৯টায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে ক্লাস শুরু করে টানা ৪টা পর্যন্ত ক্লাসের ব্যবস্থা রেখেছেন। তাছাড়া সমস্ত অনিয়ম দূর করতে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। অধ্যক্ষের এই সফলতার স্বার্থান্বেষী মহল ক্ষিপ্ত, তারা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে পাংশা সরকারি কলেজের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন বনাছি। ভিত্তিহীন বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশন করা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা ছাড়া আমাদের কোনো উপায় থাকবে না। যারা এ ধরনের মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশনে সহায়তা করে কলেজের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে তাদেরকে শিক্ষক পরিষদের সর্বসম্মত সভায় নিন্দা আপন করা হয়। সভায় এ সব কর্মকর্তাকে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করা হয়। সেই সাথে ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে লিপ্ত কর্মকর্তাদের অসদাচরণ এর অভিযোগে অভিযুক্ত করে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে অধ্যক্ষ মহোদয়কে সুপারিশ করা হবে।

এবিষয়ে পাংশা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ক্যাপ্টেন মোঃ ইয়ামিন আলী বলেন, আমি কাউকে দাওয়াত খেতে বাধ্য করিনি বা কোন ধরনের নোটিশ আমি করিনি। আমার বিরুদ্ধে যে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি এখানে ন্যায়ের সঙ্গে কাজ করছি। ভুল সংবাদ প্রকাশ করায় পত্রিকাটিকে প্রতিবাদ করতে বলা হয়েছে এবং তাদেরকে প্রতিবাদ অনলিপি দেওয়া হয়েছে। অভিযোগকারী নুসরাত হাছনীন এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

LEAVE A RESPONSE

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!