রাজবাড়ী প্রতিনিধি।
রাজবাড়ীর পাংশা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের দলিল লেখক ও পাট্টা ইউপির ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য অতুল চন্দ্র সরকার ও আরেক দলিল লেখক সাইফুল ইসলামকে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে পাংশা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক, দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মোঃ জালাল উদ্দিন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত ভাইস চেয়ারম্যানের নাম জালাল উদ্দিন বিশ^াস। তিনি পাংশা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান। উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
অতুল চন্দ্র সরকার অভিযোগ করে বলেন, পাংশা উপজেলায় দলিল লেখকদের একটি সমিতি আছে। সমিতিতে সরকার নির্ধারিত টাকার চেয়ে অতিরিক্ত দুই শতাংশ হারে টাকা নিতে হবে। এসব টাকা সভাপতি (জালাল বিশ^াস) নিযুক্ত কোষাধ্যাক্ষের কাছে জমা দিতে হবে। কিন্তু আমি (অতুল) ও আরও কয়েকজন সরকার নির্ধারিত টাকার চেয়ে বেশি টাকা নেইনা। এসব টাকা সভাপতির কোষাধ্যাক্ষের কাছেও জমা দেই না। একারণে সভাপতি আমার ওপর ক্ষুদ্ধ ছিল। গত সপ্তাহেও আমাকে গালাগাল করা হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, আজ সকাল ১১টার দিকে আমার সাব রেজিস্ট্রি অফিসে আমার সেরেস্তায় বসে অফিসিয়াল কাজ করছিলাম। সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলীমকে নিয়ে জালাল বিশ^াস আমার কাছে আসেন। আমি জমির দলিল জমা দিচ্ছি না কেন তা জানতে চায়। এসময় আমাকে দুই শতাংশ বেশি করে টাকা নিতে বলে। আমি অস্বীকার করি। এতে করে আমাকে কিল-ঘুষি মেরে চেয়ার থেকে ফেলে দেয়। চেয়ার তুলে আমাকে মারধর করা হয়। তাঁরা চলে যাওয়ার পর আমাকে উদ্ধার করে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আমার হাত ভেঙে গেছে। আমি পাংশা থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জালাল উদ্দিন বিশ^াস। তিনি বলেন, আজ কয়েকদিন অতুল দলিল ও সরকারি টাকা জমা দিচ্ছে না। আমি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সরকার নির্ধারিত ফি জমা দিতে বলি। এরপর আমি সেখান থেকে চলে আসি। আমি চলে আসার পর অতুল মোটর সাইকেল নিয়ে বের হয়ে যায়। শুনেছি পথে মোটর সাইকেল থেকে পরে গিয়ে আঘাত পেয়েছে। হাতে চোট লেগেছে বা হাতের হাড়ে ফাটল দেখা দিয়েছে।
পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান বলেন, শুনেছি ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। তবে এবিষয়ে কেউ থানায় কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।