ফরিদপুরের সালথায় ২ সন্তানের জননী ২৮ বছর বয়সী গৃহবধূ লাবলী আক্তার ও ৩০ বছর বয়সী পাশের বাড়ির ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল আলমের হাত ধরে উধাও হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার (৭ জুন) রাত দুইটার দিকে উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের গোলপাড়া গ্রামে। লাবনী আক্তার মাঝারদিয়া গোলপাড়া গ্রামের জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী। নুরুল আলম একই গ্রামের মৃত মঈনউদ্দীন মাতুব্বরের ছেলে।
এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী জাহিদুল ইসলাম (৪০) বুধবার (৮ জুন) দুপুরে সালথা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইউপি সদস্য নুরুল আলমের সম্পর্কে লাবনী বেগম কাকি হত। দীর্ঘদিন ধরে জাহিদের বাড়িতে যাওয়াআসা করত নুরুল আলম। আমরা জানতে পেরেছি গতকাল রাতে নুরুল আলমের হাত ধরে জাহিদের স্ত্রী লাবলী পালিয়ে গেছে।
এদিকে গৃহবধুর স্বামী জাহিদুল লাবনী বেগমের উধাও এর খবরে বড় মেয়ে মারিয়া আক্তার (৯) ও ছোট মেয়ে ফারিয়া আক্তার (৫)কে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
জাহিদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার যা কিছু ছিল তার সবকিছুই নিয়ে নুরুল আলমের সাথে চম্পট দিয়েছে জাহিদের স্ত্রী লাবনী। ঘরে নেই টাকা পয়সা, তার উপর ছোট কন্যার মায়ের শোকে অনাবর্ত কান্না, আর বড় মেয়ের অসহায় চাহনীর কাছে জাহিদুল একান্ত অসহায় কিংকর্তব্যবিমূঢ়।
এ ব্যাপারে জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমার স্ত্রী লাবনী রাত দুইটার দিকে টয়লেটে যাওয়ার জন্য ঘর থকে বের হয়। টয়লেট থেকে আসতে দেরি হওয়ায় আমি খুজতে ঘর থেকে বের হয়ে দেখি আমার স্ত্রী টয়লেটে নাই পরে আমার পরিবারের সকলে মিলে বাড়ির আশেপাশে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও তাকে পাই নাই।
জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর পূর্বে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের সিংহপ্রতাপ গ্রামের মোঃ মোফাজ্জল খালাসির কন্যা লাবনী আক্তারের সাথে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক জাহিদুল ইসলামের বিবাহ হয়।