রাজবাড়ী প্রতিনিধি।
রাজবাড়ী পাংশা পৌরসভা এলাকা আবারও অশান্ত হয়ে উঠছে। রাজনৈতিক কোন্দলের কারণে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদের দুই নেতার মধ্যে টেন্ডার কে কেন্দ্র করে বিভেদ সৃষ্টি হয়।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক মোঃ জালাল উদ্দিন বিশ্বাস বাদী হয়ে গত ১১ এপ্রিল রাতে পাংশা থানায় যুবলীগের আহ্বায়ক ফজলুল হক ফরহাদ ও কমিশনার তাজুল ইসলাম সহ ১০/ ১২ জনকে আসামী করে চাঁদাবাজি হত্যাচেষ্টা অফিস ভাঙচুরের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় ফরহাদ ও কমিশনার তাজুল ইসলামকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে পাংশা থানা পুলিশ। তারপর থেকেই পৌর শহরে জুড়ে চলছে উভয় গ্রুপের মোটরসাইকেল শোডাউন ও মহড়া।
বাদী জালাল বিশ্বাস উল্লেখ করেন, জেলা পরিষদের লিজ নেয়া জাইগায় ঘর করতে গেলে তাইজুল তার কাছে ২ লক্ষ টাকা চাদা দাবি করেন। তিনি ২০ হাজার টাকা দিলেও তারা বাকি টাকা পরিশোধ না করায় জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে। টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে পাংশা পৌর শহরে। উভয় উভয় গ্রুপই যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে পারে বলে এমনটাই ধারণা করছে অনেকেই। ওই মামলায় গত সপ্তাহে পাংশা সাব-রেজিস্টর অফিসের দলিল লেখক ও স্টাম ভেন্ডার সমিতির আহবায়ক ফজলুল হক ফরহাদ ও কাউন্সিলার তাইজুল কে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে। এ সময় ফজলুল হক ফরহাদ ও তাইজুলের সাথে কথা হলে তারা বলেন, এটা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য মূলক মামলা।
এ সময় কাউন্সিলর তাইজুল বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় জেলা পরিষদের লিজ নেওয়া জাইগা থেকেও অতিরিক্ত জাইগা নিয়ে জালাল বিশ্বাস পাকা ঘর নির্মাণ করতে গেলে আমি বাধা দেই। ফলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আমাকে মামলা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকালে উপজেলা সাব-রেজিস্টার অফিস চলা কালিন অবস্থায় পাংশা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মারুফ সরদার বহিরাগত ৪০/৫০ জন্য সঙ্গী নিয়ে প্রবেশ করেন। এর আগেই ভাইস চেয়ারম্যান জালাল বিশ্বাস উপস্থিত থাকেন সাব-রেজিস্টার অফিসে।
এ সময় তারা বলেন, ফজলুল হক ফরহাদ কে আহবায়ক করে যে কমিটি রয়েছে তা অবৈধ। এই কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি গঠন করতে হবে।
এ সময় পাংশা সাব-রেজিস্টার অফিসের দলিল লেখক ও স্ট্রাম ভেন্ডার সমিতির সদস্যরা বলেন, আমাদের কমিটি কিভাবে চলবে সেটা আমার বুঝবো, বাইরের লোকজন কেন আমাদের কমিটি নিয়ে কথা বলবে। তারা, মুলত অফিসের পরিবেশ অশান্ত করতে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে আসছে। তার কিছুক্ষণ পরে পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ অতুর সরদার, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর চাঁদ আলী খান, ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাদশা মন্ডল ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম সরদার সাব রেজিস্ট্রার অফিসে আসে।
তবে দ্বিতীয় পক্ষ আসার আগেই পুলিশ উপস্থিত থাকায় তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
পরে পাংশা মডেল থানার ওসি তদন্ত উত্তম কুমার ঘোষ সহ ফোর্স এসে পরিবেশ শান্ত করে।