রাজবাড়ীর কালুখালীতে নার্সারীতে বিভিন্ন প্রজাতির ফল ও ফুলের গাছে কলম কাজে সফল হয়েছেন দুই ব্যক্তি।
উপজেলার মাজবাড়ী ইউনিয়নের আজগর প্রমানিকের পুত্র মোঃ বিল্লাল মিশোরী দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তিনি বিভিন্ন প্রজাতির ফল ও ফুল গাছে কলম দ্বারা একই গাছে ৩৬ প্রজাতির আম ও লেবু গাছে কমলা ও মাল্টার মিশ্রণ চাষ করে সাফল্য অর্জন করেছেন।
তার সহযোগী হিসেবে একই গ্রামের মোঃ আনিস লাবনী ফুলকড়ি নার্সারী স্থাপণ করেছেন। নার্সারীতে তিনি প্রায় ১০০ প্রজাতির ক্যাকটাস, সাদা ও কালো আঙ্গুর, আপেল, এলোভেরা, লজ্জাবতি, গাঁদা, বাগান বিলাশ, চন্দ্রমল্লিকা এছাড়াও কিউজাই, ফিলিপাইন, বারি-৪ সহ বিভিন্ন জাতের আমের চারা সরবরাহ করছেন।
সোমবার (৩১ মে) সরেজমিনের পরিদর্শনে গেলে দেখা যায়, বিভিন্ন এলাকা থেকে সৌখিন মানুষ লাবনী ফুলকড়ি নার্সারীতে চারা ক্রয় করতে এসেছেন। এসময় তারা নার্সারী মালিক আনিস ও তার শিক্ষাগুরু বিল্লাল মিশোরীর কাছে গাছের কলম সম্পর্কে পরামর্শ নিচ্ছেন।
এ ব্যপারে বিল্লাল মিশোরী বলেন, আমি দীর্ঘ ২২ বছর এই পেশায় কাজ করছি। আমি নিজ বাড়ীতে একটি আম গাছে ৩৬ প্রজাতির আমের কলম করেছি এবং একটি লেবু গাছে কমলা ও মাল্টার সংমিশ্রণ করেছি। এসকল গাছে ফল ধরতে শুরু করেছে। এছাড়াও আমি আম, বড়ই, লিচু, কমলা, লেবু, বিভিন্ন প্রকার ফুলের কলম করে থাকি। বাংলাদেশের যে কোনো যায়গা থেকে আমার সাথে যোগাযোগ করলে আমি সেখানে গিয়ে কলম করে দিয়ে আসতে পারবো। সেই সাথে সরকারীভাবে আমাদের খাস জমি বরাদ্দ দিলে নার্সারীর মাধ্যমে দেশে বৃক্ষরোপনের হার বাড়াতে সহযোগীতা করতে পারতাম।