আমি একজন সাংবাদিক। আমি একজন মিডিয়া কর্মী। আমি একজন সংবাদকর্মী। আমি একজন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব। কত কিছুই না আমরা বলি। আবার এটাও বলি একটি রাষ্ট্র গঠনের চতুর্থ স্তম্ভ হচ্ছে সাংবাদিক। সবাই মানেন একটি গণতান্ত্রিক দেশের স্বাধীন গণমাধ্যম চতুর্থ স্তম্ভ । তবে আসলে কি তাই?
একটি সময় ছিলো সাংবাদিকদের মানুষ সম্মান করতো। শ্রদ্ধা করতো। আর এখন তৈল না মারলে কারো হুকুম না শুনলে হয়রাণী, পিটুনী, হত্যা, গুম, হামলা, মামলা সহ আরও কত কি।
প্রতিদিনই টেলিভিশন, পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে সাংবাদিককে হয়রানী নির্যাতন সহ নানা ধরনের সংবাদ দেখতে পাওয়া যায়।
আচ্ছা একজন সাংবাদিকের কি কোনো মান সম্মান নাই? কোনো ইজ্জত নাই? তার কি পরিবার নাই? তার কি বউ বাচ্চা আত্মীয়-স্বজন নাই? হ্যা আছে সবই আছে। অন্য পেশার মানুষের যেমন আছে তেমনি একজন সাংবাদিকেরও আছে।
বর্তমানে তেল মারলে সেই সাংবাদিক খুবই ভালো। সবাই খুব দাম দেয়। ভালো ভালো অফিসে গেলে ভালো চেয়ারে বসতে দেয়। চা কফি খেতে দেয়।
আর তেল না মারলে জাতির সাথে বেঈমানী করা হয়। সাধারণ জনগণ সাংবাদিকদের কাছ থেকে সকল ধরনের অনিয়ম, দূর্নীতির খবর জানতে চায়।
আবার তেল না মেরে যদি অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য পত্রিকায়, টেলিভিশনের প্রতিবেদন প্রকাশ পায় দেখবেন পরের দিনই সেই সাংবাদিক হামলার শিকার অথবা হয়রানী অথবা মামলার শিকার।
একজন নীতিবান সাংবাদিক কখনো ঘুষ/চাঁদাবজি করতে পারে না তেমনি নীতিবান আমলা ঘুষ/দুর্নীতি করতে পারে না।
তবে আমার কথা হলো, আমরা সবাই মানুষ। পৃথিবীতে এসেছি আজ না হয় কাল আবার চলে যেতে হবে। কেউই চিরস্থায়ী নয়। কিন্তু আমাদের এত এত টাকার প্রয়োজন কেন? এত এত বাড়ী, নতুন নতুন ডিজাইনের গাড়ী কেন? স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু হলে কি আমার আপনার হয় না?
আসলে আমাদের মন মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন। একে অন্যের প্রতি সম্মানবোধ প্রয়োজন। তা না হলে ভবিষ্যতে এর থেকে আরও অনেক বেশি পরিবেশ খারাপ হতে পারে।
আরেকটি কথা, টেলিভিশন- পত্রিকা সহ সংবাদমাধ্যম যদি তাদের কর্মরত সকল প্রতিনিধিদের নির্দিষ্ট একটি পারিশ্রমিক দিতো তাহলে আমাদের দেশের গণমাধ্যম এর থেকে আরেকটু উন্নত হতে পারতো। সেই সাথে যোগ্য ব্যক্তিকে যোগ্য যায়গায় বসানো উচিত।
আজ এই যে আমি কথাগুলো বললাম, কারো মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে দুঃখিত। আমার মত অনেকেই অনেক কিছু বলতে চায় কিন্তু পরিবেশ পরিস্থিতির জন্য বলতে পারে না। তবে সবাই কম বেশি বুঝে। করোনার এই সময় সবাই নিরাপদে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।
রাকিবুল ইসলাম (রাকিব)
কালুখালী (রাজবাড়ী) উপজেলা প্রতিনিধি
দৈনিক আমার সংবাদ
দৈনিক মাতৃকণ্ঠ।