ফাগুনের হাওয়া, ফুলে ফুলে ভ্রমর আর গাছে গাছে পলাশ আর শিমুলের মেলায় জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে আগমন হয়েছে ঋতুরাজ বসন্তের। ঋতুরাজকে বরণ করে নিতেই তো প্রকৃতির এতো বর্ণিল সাজ। বসন্ত মানে সব বিভেদ ভুলে, নতুন কিছুর প্রত্যয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা। তাই কবির ভাষায় ‘ফুল ফুটুক আর না-ই ফুটুক আজ বসন্ত’।
তবে একদিকে যেমন প্রকৃতিতে লেগেছে বসন্তের ছোঁয়া, অন্যদিকে তেমন লেগেছে ভালোবাসার ছোঁয়া। যেন বসন্তের রঙেই রেঙে উঠেছে ভালোবাসা। আগে এই দুই দিন আগে পরে এলেও গত বছর থেকে একদিনেই পালিত হয় দুই দিবস।
আগে ১৩ ফেব্রুয়ারি ফাল্গুন এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস পালন করা হলেও নতুন সংশোধিত বর্ষপঞ্জিতে পহেলা ফাল্গুন অর্থাৎ বসন্তের প্রথম দিনেই হচ্ছে ভালোবাসা দিবস।
শুধু এই দিন নয়, ১৯৭১ সালের কয়েকটি ঐতিহাসিক দিনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি করা হয়েছে নতুন বাংলা বর্ষপঞ্জি। যার ফলে ইংরেজি দিন ঠিক থাকলেও কিছুটা এদিক সেদিক হয়েছে বাংলা মাসের তারিখ। নতুন এই বর্ষপঞ্জিতে জাতীয় দিবসের বাংলা তারিখ এখন থেকে একই থাকবে প্রতিবছর।
২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদের সভায় ২০২০ সালের সরকারি ছুটির তালিকার অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর ৩০ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ছুটির তালিকা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসসহ কয়েকটি জাতীয় দিবসের বাংলা তারিখে পরিবর্তন এসেছে।
বর্ষপঞ্জি পরিবর্তন হলেও পরিবর্তন আসেনি উৎসবপ্রেমী বাঙালীর মনে। ফাগুনের রঙে সেজে বরণ করে নিয়েছে ভালোবাসাকে।