১০০ সিসি মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন ফি ৪ হাজার ২০০ টাকার পরিবর্তে ২ হাজার টাকা করেছে সরকার। মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন ক্যাপাসিটি ১০০ সিসি বা এর কম হলে পূর্বনির্ধারিত রেজিস্ট্রেশন ফি আগের ৪ হাজার ২০০ টাকার জায়গায় ২ হাজার টাকা হবে।
মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন ক্যাপাসিটি ১০০ সিসির উপরে হলে পূর্বনির্ধারিত রেজিস্ট্রেশন ফি ৫ হাজার ৬০০ টাকার জায়গায় তিন হাজার টাকা হবে।
বাংলাদেশ মোটরসাইকেল সংযোজনকারী ও উৎপাদক সমিতি (বিএমএএমএ) জানিয়েছে, ১১০ সিসির একটি মোটরসাইকেলের মাশুল বাংলাদেশে ২২ হাজার ২৮৪ টাকা। ভারতে তা ৩ হাজার ৮৭৯, শ্রীলঙ্কায় ৪ হাজার, পাকিস্তানে ২ হাজার ৬৮, মিয়ানমারে ৩ হাজার ৩২০ এবং মালয়েশিয়ায় ১ হাজার ১৩২ টাকা।
বিএমএএমএ বলছে, নিবন্ধন মাশুলের পাশাপাশি ডিজিটাল সনদ, সম্পূরক শুল্ক, ডিজিটাল নম্বরপ্লেট, পরিদর্শন মাশুল, সড়ক কর (রোড ট্যাক্স) ইত্যাদি খরচ রয়েছে। ৯০ হাজার টাকার মোটরসাইকেলের মাশুল ২৩ শতাংশ অর্থাৎ ২০ হাজার ৯৩৭ টাকা। আর ১ লাখ ৩০ হাজার টাকার মোটরসাইকেলে ১৮ শতাংশ অর্থাৎ ২২ হাজার ৭৮৯ টাকা।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্য অনুযায়ী, করোনার কারণে চলাচল সীমিত থাকলেও গত বছর সারা দেশে ৩ লাখ ১১ হাজার ১৬টি মোটরসাইকেল নিবন্ধন নিয়েছেন গ্রাহকরা। যেখানে ২০১৯ সালে নিবন্ধন নেওয়া হয়েছে ৪ লাখ ১ হাজার ৪৫২টির। ২০১৮ ও ২০১৭ সালে যথাক্রমে এই সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৫৪৫ ও ৩ লাখ ২৫ হাজার ৮৭৬টি।
এর আগে গত বছরের ১৬ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ জাপান যৌথ সরকারি বেসরকারি অর্থনৈতিক সংলাপ’ শীর্ষক বৈঠকে মোটরসাইকেলের নিবন্ধন ফি বাজারমূল্যের ১০ শতাংশের মধ্যে নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে জাপানি রাষ্ট্রদূত শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে এক বৈঠকে মোটরসাইকেল নিবন্ধন খরচ কমানোর প্রস্তাব করেন।