মাসুদ রেজা শিশির ॥
নির্যাতনের বিভিষীকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে জীবন শুরু করেছে যে নারী, অর্থনৈতিক ভাবে সাফল্য অর্জন কারী নারী, শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্যে অর্জনকারী নারীসহ ৫টি ক্যাটাগরিতে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে জয়ীতা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচনে পাংশা ও কালুখালী উপজেলার ৪ অসহায় নারী নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখায় তারা জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন।
এ নির্বাচিত ৪ জনের গল্প প্রায় একই রকম সকলেই অল্প বয়সে নিজের স্বামীকে হারিয়ে দিশা হারা হয়ে নানা নির্যাতনের শিকার হওয়ার পরও ঘুরে দাড়িয়েছেন। এদের মধ্যে জেলার কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের মালিয়াট গ্রামের শাহিদা খাতুন,তিনি শিক্ষা ও চাকুরীর ক্ষেত্রে সাফল্যে অর্জন করে জয়ীতা নির্বাচিত হয়েছেন। শাহিদা খাতুন বর্তমানে আকতার টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে চাকুরীরত রয়েছেন। এই শাহিদা ৯ম শ্রেণীতে পড়াকালীন তার বিয়ে দেওয়া হয় বিয়ের কিছু দিন পর তার স্বামী মারা যান, এ সময় শাহিদা ২ সন্তানের জননী স্বামী মারা যাওয়ার পর তার জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। পড়ে পূনরায় শিক্ষা গ্রহণের জন্য স্কুলে ভর্তি হয়ে বি.এ পাশ করেন সেই সাথে নিজের সন্তানদের মানুষ করার চেষ্টা করে চলছে তার একটি মেয়ে বর্তমানে ইডেন মহিলা কলেজ ঢাকায় পড়ালেখা করছে অপর সন্তানটি ৭ম শ্রেণীতে পড়ে।
শাহিদা খাতুন বলেন যখন অথৈয় সাগরের মধ্যে নিমজ্জিত ছিলাম তখন ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ নামক একটি প্রতিষ্ঠান আমার পাশে এসে দাড়ায় আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। ইসলামিক রিলিফের সহায়তায় আমার সন্তানের লেখা পড়া চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।
একই উপজেলার মদাপুর ইউনিয়নের বৃ গোপালপুর গ্রামের আলেয়া বেগম,নির্যাতনের বিভিষীকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে জীবন শুরু করেছে যে নারী এ ক্যাটাগরিতে জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন। আলেয়া বেগম এর স্বামী মারা যাওয়ার পর স্থান হয়নি স্বামীর ভিটায়,স্থান হয়নি পিতার বাড়ী অবশেষে নানার বাড়ীতে আশ্রায় নিয়ে জীবনে ঘুরে দাড়ানোর চেষ্ঠা করেছে আজ তিনি নিজে ২২ শতাংশ জমি ক্রয় করে বাড়ী করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।
আলেয়া বেগম বলেন কোথাও কোন ঠাই না পেলেও ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ আমার পাশে দাড়িয়ে ছিল আজও আমি তাদের সহায়তায় আমার ছেলেদের পড়ালেখা করিয়ে যাচ্ছি আমি ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ নাম প্রতিষ্ঠানটির প্রতি কৃতজ্ঞ।
আরভীন বেগম অর্থনৈতিক ভাবে সাফল্য অর্জন কারী নারী,তিনিও স্বামী মারা যাওয়ার পর নানা বিড়ম্বনার মধ্যে দিয়ে জীবন অতিবাহিত করে আজ তিনি সাফল্যের দ্বার প্রান্তে। তিনিও ইসলামিক রিফিল রাজবাড়ী ফিল্ড অফিসের মাধ্যমে সহায়তা পেয়ে দাড়িয়েছেন বলে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। জেলার পাংশা উপজেলার বাবুপাড়া ইউনিয়নের সুজানগর গ্রামের শিউলি বেগম তার স্বামী মারা যাওয়ার পর দিশেহারা হয়ে পড়েন সে সময় তার পাশে দাড়ায় ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ।
পাংশা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের নির্বাচনে তিনি জয়ীতা নির্বাচিত হয়েছেন। নির্যাতনের বিভিষীকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে জীবন শুরু করেছে যে নারী এ ক্যাটাগরিতে তিনি জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন।
শিউলি বেগম জানান তার জীবনে নেমে আসা দঃসময়ে পাশে দাড়িয়েছিল ইসলামিক রিলিফ আজও তাদের সহায়তায় নিজের ছেলেদের পড়া লেখা করিয়ে চলছি আমি ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ নামক সংস্থার প্রতি কৃতজ্ঞ।
এ ব্যাপারে ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ রাজবাড়ী ফিল্ড অফিসের অফিস ইনচার্জ সুমী বিশ^াস বলেন আমরা ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ চেষ্ঠা করে চলছি অসহায় এতিম শিশুদের নিয়ে ও তাদের পরিবারকে স্বাবলম্বী করার চেষ্ঠা করে চলছি। আজ আমাদের ভাল লাগছে যে আমাদের ৪ জন এতিম শিশুর মা জয়িতা নির্বাচিত হওয়ায় আমরা গর্ববোধ করছি।
আজ নারীরা এগিয়ে যাচ্ছি দেশ এগিয়ে যাবে আমাদের ভিশন সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।