মোঃ শামীম হোসেনঃ
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় কাঁচা বাজার উর্দ্বগতি হওয়ায় দিশে হারা নিন্ম আয়ের লোকেরা। পাংশা শহরের কাঁচা বাজারসহ বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে এসে আমাদের প্রতিনিধি নিত্য প্রয়োজনীয় কাঁচা বাজার দর জানান।
মরিচ প্রতি কেজি ২৪০ টাকা, টমেটা প্রতি কেজী ১২০ টাকা, পেঁয়াজ প্রতি কেজী খুরচা ৮৫ টাকা, আলু প্রতি কেজী ৪৫ টাকা, কচু প্রতি কেজী ৪০ টাকা, পটল প্রতি কেজী ৬০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজী ৬০ হতে ৬৫ টাকা, মুলা প্রতি কেজী ৪০ টাকা, ঝিংকে প্রতি কেজী ৫০ টাকা,ফুল কপি প্রতি কেজী ৭০ টাকা, বাঁধা কপি প্রতি কেজী ৬০ টাকা, উচ্ছে প্রতি কেজী ৬০ টাকা, কদু/ লাউ প্রতিটি ৪০ হতে ৪৫ টাকা, কাঁচ কলা প্রতি হালী ২০ টাকা, লেবু প্রতি হালী ১৫ হতে ২০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজী ১৮ হতে ২০ টাকা, ডাটা প্রতি আটি ১২ হতে ১৫ টাকা, কুমড়া প্রতি কেজী ২৫ টাকা হতে ৩০ টাকা, ধুনে পাতা এক শত গ্রাম ২৫ হতে ৩০ টাকা, ১শত গ্রাম আদা ২৫ টাকা, খাসীর মাংশ প্রতি কেজী ৭শত হতে ৭৫০ টাকা, গরুর মাংশ ৫শত হতে ৫৫০ টাকা, বয়লার প্রতি কেজী ১২০ টাকা, সোনালী প্রতি কেজী ১৯০ টাকা, দেশী মুরগী/ মোরগ ৩২০ টাকা, লেয়ার ২৪০ টাকা, সাদা কক প্রতি কেজী ১৮০ টাকা এবং ৭শত হতে সাড়ে ৭শত গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজী ৮শত টাকা।
এছাড়াও বাজারে সব ধরনের চাউল কেজী প্রতি ৩ হতে ৪ টাকা বেশী দরে বিক্রি হতে যায়। ১ লিটারের সুয়াবিনের বোতল (রান্না তেল) বিক্রি হচ্ছে ১০৫ হতে ১১০ টাকা এবং পাম ওয়েল প্রতি কেজী খুরচা ৮৫ হতে ৯০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে যাচ্ছে। মহামারী এই করোনা কালীন সময়ে একদিকে মানুষের হাতে যেমন কাজ নেই তেমনই অপর দিকে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষপত্রের দাম আকাশ ছুয়া হওয়ায় নিন্ম আয়ের লোকেরা বাজারে দিশে হারা হচ্ছে।
বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষপত্রের দাম বেশী হওয়ার ব্যপারে কাঁচা বাজারে ব্যবসায়ী তাসির উদ্দিন, জাহাঙ্গীর হোসেন এবং জামালের সাথে কথা হলে তারা জানান এবারে বেশী পরিমান বৃষ্টি পাতের কারনে দেশের অনেক স্থানেই সবজির ক্ষেত নষ্ট হওয়ার কারনে শাক সব্জির উৎপাদন কম হওয়ার কারনে সব ধরনের সব্জির দাম বেশী হয়েছে। তবে শীত কালীন সময়ের শাক সব্জির উৎপাদন বেশী হলে এই দাম কমে আসবে বলের ধারন করেন। তারা ক্ষোভের সাথে বলেন কাঁচা বাজারে সব ধরনের জিনিষপত্রে দাম বেশী হওয়ায় অনেক ক্রেতারা দোকানে আসতে চায় না আবার অনেক সময় মালামাল বিক্রির পরও আসল টাকাই ফিরে আসে না।