Newsun24

Most Popular Newsportal

জাতীয়

১ মাস ঘটনা চাপা থাকলো, পুলিশ কি করলো: হাইকোর্ট

অনলাইন ডেস্ক:

নোয়াখালীতে স্বামীকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি বিটিআরসি চেয়ারম্যানকে ভিডিওটি পেনড্রাইভ বা সিডিতে সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে।

সোমবার (৫ অক্টোবর) সকালে, বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন।

এসময় হাইকোর্ট প্রশ্ন করেন, এক মাস এই ঘটনা চাপা থাকলো কি করে, পুলিশ কি করলো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে যদি এ ঘটনা না ছড়াতো তাহলে তো ঘটনা গোপনই থাকতো। কখনোই প্রকাশ হতো না।

এ ঘটনায় করা মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নির্যাতিত নারী ও তার পরিবারকে সব ধরনের নিরাপত্তা দিতে নোয়াখালীর পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

একইসঙ্গে ওই নারীর নিরাপত্তা, জবানবন্দি নেয়া, দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণসহ সার্বিক ঘটনায় স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কোনও অবহেলা আছে কি না তা অনুসন্ধানে নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটি করে দিয়েছে হাইকোর্ট।

কমিটিকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। জেলার সমাজ সেবা কর্মকর্তা ও চৌমুহনী সরকারি এস এ কলেজের অধ্যক্ষকে কমিটিতে রাখা হয়েছে।

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের একলাশপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন যুবক একজন নারীকে বিবস্ত্র করে মারধর করছে। তাদের একজন পা দিয়ে ওই নারীর মুখ চেপে ধরেছে। বার বার আকুতি জানানোর পরও নির্যাতন করা বন্ধ করেনি তারা।

এক মাসেরও বেশি সময়ের আগের এই ঘটনার ভিডিও রোববার ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে নিন্দার ঝড়। দোষীদের শাস্তি চাইছে সবাই।

নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি আসে বিভিন্ন মহল থেকে। এরপর ওই নারীকে উদ্ধার করে নিজেদের হেফাজতে নেয় স্থানীয় পুলিশ। পাশাপাশি এ ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

LEAVE A RESPONSE

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!