Newsun24

Most Popular Newsportal

জাতীয় সিলেট-বিভাগ

এমসি কলেজে দলবদ্ধ ধর্ষণ: আরও তিন আসামি ৫ দিনের রিমান্ডে

 

সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসের সামনে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামি মাহবুবুর রহমান রনিসহ (২৫) তিনজনকে ৫দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহপরান থানার পরিদর্শক ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য তিনজনকে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্টেট দ্বিতীয় আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন জানান। শুনানি শেষে বিচারক সাইফুর রহমান আসামিদের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আদালতের এপিপি খোকন কুমার দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অন্য দুই আসামি হলেন- আইনুদ্দিন ও রাজন মিয়া। তারা মামলার সন্দেহভাজন আসামি।

আসামিদের আদালতে আনার সময় উৎসুক জনতার ভিড় লক্ষ্য করা যায়।

এর আগে সোমবার মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার সাইফুর রহমান ও অর্জুন লস্করের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর সিলেট মহানগর হাকিম আদালতের (২) বিচারক সাইফুর রহমান।

এ মামলায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী লড়ছেন না।

শুক্রবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ির এক তরুণী স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে বেড়াতে আসেন। এ সময় ছাত্রলীগকর্মী সাইফুর রহমান ও শাহ মাহবুবুর রহমান রনির নেতৃত্বে স্বামী ও স্ত্রীকে পার্শ্ববর্তী কলেজ ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে যায় আসামিরা। পরে সেখানে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ করে তারা।

ছাত্রলীগকর্মীরা ওই তরুণীর স্বামীর প্রাইভেটকারও ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে স্বামী-স্ত্রী ও তাদের প্রাইভেটকার উদ্ধার করে। পরে ধর্ষণের শিকার তরুণীকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে নয়জনের বিরুদ্ধে শনিবার সকালে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলায় নাম উল্লেখ করা আসামিরা হলেন বালাগঞ্জের  চান্দাইপাড়া গ্রামের সাইফুর রহমান (২৮), সুনামগঞ্জ সদরের তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), হবিগঞ্জ সদরের বাগুনিপাড়ার মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), জকিগঞ্জের আটগ্রামের অর্জুন লস্কর (২৫), সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম (২৫) ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫)।

এদের মধ্যে তারেক ও রবিউল বহিরাগত এবং অন্যরা এমসি কলেজের সাবেক ও বর্তমান ছাত্র। সাইফুর, রনি ও মাহফুজুর এমসি কলেজের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র এবং অর্জুন এমসি কলেজের সাবেক ছাত্র।

মামলার আসামিরা ছাত্রলীগের ‘সক্রিয়কর্মী’ বলে পুলিশ ও দলীয়সূত্র নিশ্চিত করেছে।

LEAVE A RESPONSE

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!