ফজলুল হক/রাকিব আল হাসান, নিউসান টয়েন্টিফোর ডট কম:
রাজবাড়ীর কালুখালীতে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ প্রতিপাদ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য অধিদপ্তরের আওতাধীন পরিচালিত খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ১০ টাকা কেজি মূল্যে ৩০ কেজি চাউল বিতরণে কার্ডধারীর নিকট থেকে টাকা নেওয়া, নতুন কার্ড দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়া, নষ্ট হয়ে যাওয়া কার্ড নতুন করে নিতে টাকা নেওয়া সহ নানা অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের ৮ ও ৭ নং ওয়ার্ডের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর আওতায় ২০০-২৫০ জন কার্ডধারীর কার্ড নষ্ট এবং কিছু কার্ডের চাউল বিতরণের ঘর ভর্তি হয়ে গেলে ডিলার মোঃ জয়নাল আবেদীন নিজ খরচে নতুন কার্ড করে দেন।
গতকাল সকাল ১১ টার দিকে রতনদিয়া ইউপির হরিণবাড়ীয়া বাজার এলাকায় বিক্ষুদ্ধ হয়ে অভিযুক্ত খাদ্য অফিসের কর্মকর্তার নিকট টাকা ফেরত চায় এবং দোষীদের শাস্তির দাবী জানান।

সরেজমিনে গেলে যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে তাদের মারফত জানা যায়, কার্ড বিতরণের সময় রতনদিয়া ইউপির ৭নং ওয়ার্ড সদস্য মোহাম্মদ আলী এর বাড়ী থেকে সহকারী উপ-খাদ্য পরিদর্শক মোহব্বতুন্নেছা তার অফিসের অফিস সহায়ক মোঃ আক্তারুজ্জামান মোল্লা এর মাধ্যমে কার্ড বিতরণের সময় ১০০-১৫০ টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছে।

যাদের কাছ থেকে নতুন কার্ড দিয়ে টাকা নেওয়া হয়েছে তারা হলেন, রতনদিয়া ইউপির বল্লভপুর গ্রামের আঃ লতিফ এর পুত্র জিয়াউর রহমান, আব্দুস সালাম এর স্ত্রী রেবা, আমির আলীর পুত্র হালিম শেখ,আফসার এর পুত্র আনছের শেখ, লোকমান খান এর পুত্র রাসেল খান,রুস্তম আলীর স্ত্রী রাবেয়া, লালু খান এর স্ত্রী মনোয়ারা, মৃত বাছের সরদার এর পুত্র কালাম সরদার, ফটিক মন্ডল এর পুত্র তালেব মন্ডল, ছবেদ শরিফ এর পুত্র ছাত্তার শরিফ, সোবাহান মন্ডল এর পুত্র হাফিজুল ইসলাম, টেংড়া গ্রামের রওশন আলীর পুত্র জাহাঙ্গীর মৃধা, মনিরুল ইসলাম এর পুত্র জামিরুল শেখ, মৃত নেপাল সরদার এর স্ত্রী হামিদা, মৃত কুদ্দুস শেখ এর স্ত্রী আমেনা বেগম, তাছের মন্ডল এর পুত্র আবজাল হোসেন, ওহাব মৃধার স্ত্রী মোমেনা বেগম, উসমান শেখ এর পুত্র নজরুল মোল্লা, মুজা মন্ডল এর পুত্র তালেব মন্ডল, হারান বিশ্বাস এর পুত্র শাহজাহান বিশ্বাস, কামিয়া গ্রামের সাদেক প্রামানিক এর পুত্র আজিবর চৌধুরী সহ আরও অনেকে যারা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।
এ ব্যপারে ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, আমি কারো কাছ থেকে টাকা নেই নি। যা টাকা নিয়েছে উপজেলা ফুড অফিসের লোকজন।
উপজেলা সহকারী উপ-খাদ্য পরিদর্শক মোহব্বতুন্নেছা বলেন, এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে আমি কোনো কথা বলতে পারবো না। কে বা কাহারা টাকা নিয়েছে সেটা আমি জানি না।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল্লাহ্ আল মামুন এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, বিষয়টি সত্য হলে দুঃখজনক ঘটনা। এখানে টাকা নেওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। এ ব্যপারে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে তদন্ত পূর্বক দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।