অনলাইন ডেস্ক, নিউসান টয়েন্টিফোর ডটকম:
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ৭৬তম ‘জন্মদিন’ আগামী ১৫ আগস্ট (শনিবার)। তীব্র সমালোচনার মধ্যে গত বছরের মতো এবারো ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিনের কোনো কর্মসূচি পালন করবে না বিএনপি।
মূলত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে খালেদার জন্মদিন পালনের বিতর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে ১৫ আগস্টের বদলে ১৬ আগস্ট জন্মদিনের কর্মসূচি পালন শুরু করে বিএনপি।
এবারো গত বছরের মতোই একদিন পরে হতে পারে খালেদার জন্মদিনের কর্মসূচি।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট জাতির জনককে হত্যার দিনটিকে খালেদা জিয়া তার জন্মদিন হিসেবে পালন করে আসছিলেন ৯০ দশক থেকে। তবে এই দিন আদৌ তার জন্ম হয়েছিল কি না, এ নিয়ে বিতর্ক আছে। বিএনপি নেত্রীর জন্মদিন হিসেবে একাধিক তারিখের তথ্য আছে।
১৯৯১ সালে বিএনপি নেত্রী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নেয়া তথ্যে রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বাসসের করা প্রতিবেদনে জন্মদিন হিসেবে ১৯৪৭ সালের ১৯ আগস্টকে জানানো হয়। তবে তার আরো চারটি জন্মদিবস পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবীর খান গণমাধ্যমকে বলেন, গত বছর ম্যাডামের জন্মদিন উপলক্ষে তার রোগমুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনা করে সারাদেশে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া হয়েছিল। এই বছর এখন পর্যন্ত আমরা কোনো নির্দেশনা পাইনি।
বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, খালেদা জিয়ার ৭০তম জন্মদিনে সিদ্ধান্ত হয়, ১৫ আগস্ট তিনি আর জন্মদিনের কেক কাটবেন না। কেক কাটার পরিবর্তে মিলাদ মাহফিল এবং তার স্বামী দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধি জিয়ারতের সিদ্ধান্ত হয়।
সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০১৬ সালের ১৫ আগস্ট খালেদার ৭১তম জন্মদিনে কেক না কেটে সকালে জিয়াউর রহমানের সমাধি জিয়ারত ও মিলাদ মাহফিল করা হয়। ২০১৮ সাল পর্যন্ত সেই ধারা অব্যাহত ছিল। গত ২০১৯ সালে ৭৫তম জন্মদিনে ১৫ আগস্টের পরিবর্তে ১৬ আগস্ট জিয়ার সমাধি জিয়ারত ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এই বছরও গত বছরের মতো কর্মসূচি পালন হতে পারে।
তবে দলীয় চেয়ারপারসনের জন্মদিন কিভাবে পালন হবে তা নিয়ে এখনো দলীয় ফোরামে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান ওই বিএনপি নেতারা।
এদিকে ২০১৩ সালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে টেলিফোনালাপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ১৫ আগস্ট জন্মদিন হিসেবে পালন না করার অনুরোধ করেছিলেন। তবে পরের বছরই তিনি ঘটা করে এদিন জন্মদিন হিসেবে পালন করেন।
এই ‘ভুয়া জন্মদিন’ পালনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রীর বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। আর দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ড পাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে এই মামলাতেও গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
তবে ২০১৬ সাল থেকে নানা কারণ দেখিয়ে বিএনপি ১৫ আগস্ট কেক কাটেনি। তবে দলীয় কার্যালয়ে এদিন মিলাদের আয়োজন করেছে তারা।