অনলাইন ডেস্ক, নিউসান টয়েন্টিফোর ডটকম:
মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে দেশের পাঁচ জেলায়। সম্প্রতি ব্র্যাকের এক জরিপে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
করোনা দুর্যোগে বাংলাদেশের মানুষের পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা পেতে ব্র্যাক সম্প্রতি জরিপটি পরিচালনা করে।
এই জরিপে দেশের ৬৪ জেলায় বিভিন্ন আর্থসামাজিক অবস্থার ২ হাজার ৩১৭ জন অংশ নিয়েছেন। যার ৬৮ ভাগ গ্রামাঞ্চল ও ৩২ ভাগ নগর এলাকার বাসিন্দা।
মঙ্গলবার (৯ জুন) এক ডিজিটাল সংবাদ সম্মেলনে এই জরিপের ফলাফল তুলে ধরা হয়।
জরিপে উল্লেখ করা হয়, চলমান করোনা দুর্যোগে আর্থিক কর্মকাণ্ডের দিক থেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন ২৮ শতাংশ ব্যক্তি। সাধারণ ছুটি শুরু হওয়ার আগে যেখানে থানাভিত্তিক গড় মাসিক আয় ছিল ২৪ হাজার ৫৬৫ টাকা। সেখানে মে মাসে ৭৬ ভাগ কমে ৭ হাজার ৯৬ টাকায় নেমে আসে।
শহর এলাকায় আয় কমার হার (৭৯ ভাগ) গ্রাম অঞ্চলের (৭৫ ভাগ) তুলনায় কিছুটা বেশি। তবে করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে দেশের ৫ জেলায়। এগুলো হলো পিরোজপুর (৯৬ ভাগ), কক্সবাজার (৯৫ ভাগ), রাঙামাটি (৯৫ ভাগ), গাইবান্ধা (৯৪ ভাগ) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া (৯৩ ভাগ)।
ডিজিটাল সংবাদ সম্মেলনে প্যানেল আলোচক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বিষয়ক বিভাগের সাবেক প্রধান সমন্বয়কারী আবুল কালাম আজাদ বলেন, দেশের সব ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থা এবং এনজিওগুলোকে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে তাদের সঞ্চয় ব্র্যাককে অনুসরণ করা উচিত।
সরকার শ্রমঘন খাতকে আর্থিক সহায়তা দেয়ার চেষ্টা করছে। যাতে নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করা যায়। প্রবাসফেরত শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে তারা কাজ ফেরত পায়।
বাংলাদেশে ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী এই মহামারীর সংকট মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, কাউকে পেছনে ফেলে যাওয়ার উপায় নেই। সেবার দ্বৈততা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার চেয়ে এটাই বেশি জরুরি। বাংলাদেশের মতো কল্যাণ রাষ্ট্রের জন্য সার্বজনীন সুরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
ব্র্যাকের ঊর্ধ্বতন পরিচালক কেএএম মোর্শেদের পরিচালনায় ডিজিটাল সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের ঊর্ধ্বতন পরিচালক শামেরান আবেদ, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান, ব্র্যাকের পরিচালক নবনীতা চৌধুরী প্রমুখ।