অনলাইন ডেস্ক, নিউসান টয়েন্টিফোর ডট কম:
১০টা বাজতে বাকি কুড়ি মিনিটি। কোনোরকম বাজারের ভেতর ঢোকা যাচ্ছে না। যতদূর চোখ যাচ্ছে মানুষ আর মানুষ। বাজারের ভেতরে দোকানগুলোতে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। বিশেষ করে বস্ত্র ও রেডিমেড পোশাকের দোকানগুলোতে ঠাসাঠাসি করে চলছে কেনাটাকা। পাশাপাশি দোকানের বাইরেও সমপরিমাণ লোক দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন ভেতরে ঢোকার জন্য। অধিকাংশ নারী। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছিল বাধা পেরিয়ে যেন ‘করোনাভাইরাস স্পর্শে ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রতিযোগিতা’ চলছে। এই ছিল যশোরের ঝিকরগাছা বাজারের আজ সকালের দৃশ্যে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খোলার কথা থাকলেও তা চোখে পড়েনি কোনো প্রতিষ্ঠানে। কোনো দোকান বা মার্কেটের সামনে নেই হাত ধোয়ার ব্যবস্থা। দোকানের ভেতরে ঠাসাঠাসি করে চলছে কেনাকাটা। সকাল ১০টা থেকে দোকান খোলার কথা থাকলেও অধিকাংশ খোলা হচ্ছে সকাল ৬টা থেকে। দেড় মাস পর দোকান খুলতে পেরে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও এ থেকে রেহাই পেতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টিও যেন পরোয়া নেই তাদের। যারা কেনাকাটা করছিলেন তারাও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছিলেন না।
বাজারের কাপড়পট্টির অবস্থা বেশি খারাপ। ছোট বাচ্চা সাথে নিয়ে নাসিমা খাতুন নামে কেনাকাটা করতে আসা এক নারী জানান, ঈদের জন্য কাপড় কেনাকাটা করছি, এভাবে কেনাকাটা করা যাবে না জানি, তারপরও এসেছি। কাপড়পট্টির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বস্ত্র ব্যবসায়ী জানান, যে অবস্থা তাতে এখন দোকান খোলা আর জেনেশুনে বিষ পান করা একই কথা। কিন্তু সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাই দোকান খুলেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমী মজুমদার জানান, সীমিত আকারে দোকান খোলা এবং কেনাকাটায় অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।