অনলাইন ডেস্ক, নিউসান টয়েন্টিফোর ডট কম:
মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে স্থবির গোটা বিশ্ব। বাংলাদেশেও মহামারী করোনাভাইরাস আক্রান্তের বাহিরে নয়। গত ৮ মার্চ প্রথম ৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলে দেশে। এর পর থেকে আক্রান্ত বেড়েই চলেছে। একই সঙ্গে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও।
এমতাবস্থায় করোনা দুর্যোগে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আগামী ৫ মে পর্যন্ত সরকারি ছুটি বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে সোমবার (২৭ এপ্রিল) রাজশাহী বিভাগের আট জেলার খোঁজখবর নিতে ভিডিও কনফারেন্সের শুরুতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর থেকে শিক্ষার্থীদের মনে প্রশ্ন জেগেছে, তাহলে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা কবে হবে? শুরুতে ১ এপ্রিল থেকে এ পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও গত ২২ মার্চ পরীক্ষা স্থগিত করে তা আসন্ন ঈদুল ফিতরের পর শুরু করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি দীর্ঘায়িত হওয়ায় বর্তমানে সেটি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পিছিয়ে যেতে পারে বলে জানা গেছে।
আজ প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে এইচএসসি-সমমান পরীক্ষা আগামী সেপ্টেম্বরের আগে আয়োজন করা সম্ভব হবে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খুললে পরীক্ষা আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু করা সম্ভব নয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরবর্তী ১৫ দিন পর এ পরীক্ষা আয়োজন করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, এইচএসসি-সমমান পরীক্ষা আয়োজন করতে সারাদেশে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচন করা হয়।
পরীক্ষার জন্য সেখানে বিপুল মানুষের কর্মযজ্ঞ থাকে। এতে করে বড় ধরনের জনসমাগম তৈরি হয়। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এত বড় পাবলিক পরীক্ষা আয়োজন করা সম্ভব হবে না।
সচিব আরও বলেন, পরীক্ষা নিতে হলে অবশ্যই আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে হবে। কারণ, পরীক্ষার কেন্দ্র তো প্রতিষ্ঠাননির্ভর। তাই যতদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব না হচ্ছে ততদিন পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়।
এদিকে সেপ্টেম্বর মাসে প্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হলেও এর পরবর্তী ১৫ দিন পর এইচএসসি-সমমান পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। এ জন্য একাধিক কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে।
জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে কোনোভাবেই এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া সম্ভব নয়। তিনি বলেন, আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে হবে তারপর পরীক্ষা।