অনলাইন ডেস্ক:
বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এক ভিডিও বার্তায় দেশের মোবাইল কোম্পানিগুলোকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এটা কলরেট নেয়ার সময় না। দেশের এই দুর্যোগময় সময়ে মোবাইল কোম্পানিগুলো একটু মানবিক হয়ে কলরেট এবং ইন্টারনেট ফ্রি করে দিন।
তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশে দেশের মানুষ এখন ঘরে বন্দি। ঘর থেকে বের হতে পারছে না। মোবাইল রিসার্চ বা বিকাশের ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান খুলতে পারছে না। তাহলে মানুষ টাকা রিসার্চ করবে কিভাবে? এ বিষয়গুলো আপনাদের চিন্তা করা উচিত।
ভিডিও বার্তায় তিনি আরও বলেন, ঘরে বন্দী অবস্থায় মানুষের একমাত্র ভরসা মোবাইল। ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেশের খোঁজ খবর রাখা, জরুরি প্রয়োজনে কাউকে ফোন দেয়া বা বাসায় বাচ্চারা বিরক্ত করলে তাকে মোবাইলে কার্টুন দেখতে দেয়া সবই নির্ভর করছে এই মোবাইলের উপর। এসব বিষয়ে চিন্তা করে দেশের মোবাইল কোম্পানিগুলোকে মানবিক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
যে ব্যবসায়ী এ দুর্যোগ সময়ে মানুষের চিন্তা না করবে তারা আর যাই হোক মানুষের বন্ধু হতে পারে না। আপনারা যদি মানুষের বন্ধু না হতে পারেন তাহলে আপনাদের প্রতি মানুষের ধারণা খারাপ হবে।
এসময় তিনি গ্রামীণ ফোনের বারো হাজার কোটি টাকা প্রদানে তালবাহানার কথা উল্লেখ করে আরও বলেন, এক হাজার কোটি টাকা দিতে কত তালবাহানা করেছেন সেটা সবাই জানে। এখন পর্যন্ত এগারো হাজার কোটি টাকা দেননি। সুতরাং এই আপদকালিন সময়ে একটু মানবিক হয়ে মানুষের পাশে থাকুন।
তিনি মনে করেন, সরকারের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করলে সরকার অবশ্যই তাদেরকে সহযোহিতা করবেন। সাথে সাথে সরকারকেও এই লকডাইন থাকা সময়ের টেক্স ক্ষমা করে দেয়ার আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, কিছু সময়ের জন্য হলেও মানুষের কাজে আসেন। তাহলে কোনও সময় মানুষ আপনাদের পাশে দাঁড়াবে। আর এমনিতেও কোম্পানির প্রতি আমাদের দেশের মানুষের ধারণা ভালো না। আপনারা এমন কোম্পানি হতে যায়েন না।
এসময় একটি কোম্পানির অতীতের কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, আপনারাও কোনও চ্যারিটেবল কোম্পানির মাধ্যমেই এত বড় কোম্পানি হয়েছেন। সুতরাং অতীতের কথা ভুলে যায়েন না। আমি দেশের মন্ত্রী এবং মোবাইল কোম্পানির বিরোধী আচরণ করা বা বদনাম করা আমার উদ্দেশ্য না। এই দুর্যোগ মুহূর্তে সারা পৃথিবীর সরকাররা যখন সহযোগিতা করতেছে তখন আপনারা আমাদের সাথে এ ধরনের আচরণ কইরেন না। আর যদি এটা করেন তাহলে এ দেশের তরুণরা অন্তত আপনাদের ক্ষমা করবে না। মানুষ যেন ঘরে থাকতে পারে এ জন্যই আহ্বান করা। যদি মানুষ এমবি বা টাকা রিসার্চ করতেও বাহিরে যায় তাহলে লকডাউন কার্যকর হবে না।
ব্যারিস্টার সুমন এ বিষয়ে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।