Newsun24

Most Popular Newsportal

করোনা ভাইরাস জাতীয়

করোনায় আক্রান্ত ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের একজন সাংবাদিক

দেশের বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেল ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের একজন ক্যামেরাপারসন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি উত্তরায় বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ওই ক্যামেরাপারসনের করোনা শনাক্ত হওয়ার পরই টেলিভিশন চ্যানেলটির ৪৭ কর্মীকে ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ পাঠানো হয়েছে।

শুক্রবার (৩ এপ্রিল) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে এক ভিডিও বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এম. শামসুর রহমান।

এম শামসুর রহমান বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমাদের এক সহকর্মী, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন পরিবারের সদস্য কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত।’

তিনি বলেন, ‘উনি ২৫ ও ২৬ তারিখ শেষবার ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন অফিসে কর্মরত ছিলেন। রাতে উনার সিম্পটম গ্রো করায় উনি আমাদেরকে জানান অফিসে আসতে পারবেন না এবং উনি সেল্ফ আইসোলেশনে ছিলেন। দুদিন আগে উনি আইইডিসিআরের হটলাইনে যোগাযোগ করেন এবং উনার স্যাম্পল নিয়ে টেস্ট শেষে রেজাল্ট আসে এবং যেটা আনফরচুনেটলি পজিটিভ ছিল।’

ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সিইও বলেন, ‘আমরা ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের পক্ষ থেকে সব সহযোগিতা উনাকে করছি। আইইডিসিআরের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে ডিরেক্টরের সঙ্গে কথা বলেছি এবং উনার সংস্পর্শে যারা এসেছিলেন-৪৭ জনের তালিকা তৈরি করেছি এবং আমাদের সেই ৪৭ জন সহকর্মীকে আমরা সেল্ফ আইসোলেশনে পাঠিয়েছি। সো ২৬ তারিখ থেকে যদি আমরা হিসাব করি তার পাঁচদিনে আর আমাদের সহকর্মীদের সিম্পটম শো না করা, তার মানে আর কেউ সংক্রমিত হয়নি।’

শেষে তিনি বলেন, ‘আমি আমার কলিগের সঙ্গে কথা বলেছি তিনি রিকভারি করছেন।’

এসময় তিনি সব মাধ্যমের সাংবাদিককে সরকারের নিয়ম মেনে, সাবধানতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।

ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের হেড অব নিউজ মামুন বলেন, গত ৯ দিন ধরেই ওই সাংবাদিক ছুটিতে আছেন। তিনি বাদে আমাদের প্রতিষ্ঠানের অন্য কর্মীদের মাঝে করোনা ভাইরাসের কোনো রকম উপসর্গ দেখা যায়নি। তাই এই মুহূর্তেই আমরা লকডাউনে যাওয়ার কথা ভাবছি না।

তবে আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা ৪৭ জনের তালিকা আমরা করেছি এবং অলরেডি তাদেরকে সেল্ফ আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। এরপরও সম্ভাব্য সকল প্রকার সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। এমনকি কর্তৃপক্ষ সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও জানান মামুন আব্দুল্লাহ।

এদিকে আক্রান্ত ওই সাংবাদিক বর্তমানে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন। ইনডিপেনডেন্টের একজন সাংবাদিক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

LEAVE A RESPONSE

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!