পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি।
রাজবাড়ীর পাংশায় চুরির অভিযোগ গণপিটুনিতে ফজল অরুফে ফজলা (৩৫) নামের এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সোবমার (২৪ অক্টোবর) রাতে উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের মেঘনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফজলা কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার আমবাড়ীয়া ইউনিয়নের বারইপাড়া গ্রামের শহিদুল্লাহ্ অরুফে চৌধুরীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন সাইকেল মিকার।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকালে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মেঘনা গ্রামের সামছুলের বাড়িতে গিয়ে রাত ৯টার দিকে ৩-৪ জন মিলে ইজিবাইকের ব্যাটারী চুরি করতে থাকে এমন সময় সামছুলেল ভাই টের পেয়ে চোর বলে চিতকার করতে থাকে। এ সময় তারা পালানোর চেষ্টাকালে ফজলাকে ধরে গণপিটুনি দেয় এবং ফজলার বাড়িতে খবর দেয়।
সামছুলের স্ত্রী বলেন, আমাদের বাড়িতে অটো চুরি করতে এসে পালানোর সময় এলাকাবাসীর হাতে ধরা খায়। পরে এলাকার অনেকে মিলে একজন চোরকে ধরে মারপিট করে। সকালে সুনেছি সেই চোর মারা গেছে। অটো চুরি করতে পারে নাই। তবে অটোর ৭টা ব্যাটারী পাওয়া যাচ্ছে না।
গণপিটুনিতে নিহত ফজলার স্ত্রী জানান, রাতে ভাত খাওয়ার ফজলার মোবাইলে একটা কল আসে এবং ভাত খাওয়া শেষে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায়। রাত ১১ টার দিকে আমি সংবাদ পাই মেঘনায় আমার স্বামীকে মারপিট করা হচ্ছে। আমি সেখানে গিয়ে দেখি একটি পরিত্যক্ত ঘরের মধ্যে বেধে মারপিট করে ফেলে রাখা হয়েছে।
সেখান থেকে আমার স্বামীকে উদ্ধার করে রাত ১২ টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। হাসপাতালের দায়ীক্তরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে আমি আমার স্বামীকে বাড়ি নিয়ে আসি।
খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, নিহতের স্ত্রীরির ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। মরদেহ দেখে ধারণা করা যাচ্ছে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা দিয়ে মারপিট করা হয়েছে। ঘটনা যেহেতু পাংশা থানার মধ্যে আমরা পাংশা মডেল থানায় বিষয়টি জানিয়েছি। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা বলেন, সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠিয়েছে খোকসা থানা। প্রত্যক্ষদেষিদের পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সামছুলের স্ত্রীকে থানায় ডাকা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ পর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।