পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি।
রাজবাড়ীর পাংশায় শ্বশুর বাড়ির এলাকায় অটোভ্যান চুড়ি করতে গিয়ে গণধোয়ের স্বীকার হলেন দুলাল নামে এক ব্যাক্তি। শনিবার (১৭ সেপ্টম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলা মৌরাট ইউ নিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের মো. শাজাহান শেখের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। দুলাল উপজেলার বাবুপাড়া ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের সালামের ছেলে। এ ঘটনায় আরোও ৪ জন পালিয়ে গেছে বলে জানা যায়।
শাজাহান শেখের ছেলে মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, আমি প্রতিদিনের ন্যায় অটোভ্যানটি বসত ঘরের বারাদ্দায় রেখে ঘরের খুটির সাথে দুইটি শিকল দিয়ে তালা মেরে ঘুমিয়ে পরি। আনুমানিক রাত ২ টার দিকে আমার বাবা শিকল টানার শব্দ পায় এবং ঘরের দরজা খুলে দুলালকে ধরে ফেলে। এ সময় দুলালের সাথে থাকা আরোও ৪ জন পালিয়ে যায়। এ সময় আমাদের চিৎকার শুনে অনেক লোকজন গুছিয়ে আসে এবং দুলালকে গণধোলাই দেয়। গণধোলায়ের একপর্যায়ে দুলাল স্বীকার করেন তার সাথে সরিষা ইউনিয়নের বৃত্তিডাঙ্গা এলাকার জাহাঙ্গীর, সবুজ, সাকিল ও জনি নামের আরোও ৪ জন ছিলো। সকালে দুলালকে তার শ্বশুর বাড়ি পার্শ্ববর্তী বিষ্ণুপুর গ্রামে পৌছে দিয়ে আসেন স্থানীয় লোকজন। তিনি আরোও জানান, গত দুই দিন আগে পার্শ্ববর্তী গ্রাম শ্যামসুন্দরপুর থেকে মোক্তার নামের একব্যাক্তির একটি অটোভ্যান বাড়ি থেকে চুরি হয়েছে।
রোববার সরেজমিনে দুলালের শ্বশুর বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। দুলালের স্ত্রী রোজিনা ও শ্বাশুড়ী আমেনা বেগম বলেন, আমাদের বাড়িতে রেখে গেছিলো আমরা তাকে বাড়ি থেকে তারিয়ে দিয়েছি এখন কোথায় আছে জানি না।