Newsun24

Most Popular Newsportal

জাতীয়

এক মাসের মধ্যে ই-কমার্স নিবন্ধন শুরু

আগামী পনেরো দিন থেকে এক মাসের মধ্যে দেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করা হতে পারে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

সচিবালয়ে সোমবার (১ নভেম্বর) ই-কমার্স সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এইচএম সফিকুজ্জামান।

তিনি বলেন, আশা করছি, ১৫ দিন থেকে ১ মাসের মধ্যে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর অনলাইন নিবন্ধন শুরু করা যাবে।

সফিকুজ্জামান বলেন, ই-কমার্সভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধনের প্রক্রিয়া কেমন হবে তা নির্ধারণসহ অন্যান্য কর্মকৌশলও আগামী এক মাসের মধ্যে জানানো হবে।

এ সময় ই-কমার্স খাতের অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের একটি তালিকা পাওয়া গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, তিনটি সংস্থা আলাদাভাবে তিনটি তালিকা দিয়েছে। তদন্ত করে একটি সংস্থা ১৯, আরেকটি সংস্থা ১৭ এবং বাকি সংস্থাটি ১৩টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা দিয়েছে। তাদের রিপোর্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিলেজেন্স ইউনিটের কাছে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ইউনিক বিজনেস আইডি, এরই মধ্যে আমাদের একটি কমিটি ফাইনাল করেছে। আজকে এটা প্রেজেন্ট করা হয়েছে, সেটার প্রাইমারি অ্যাপ্রুভাল আমরা দিয়েছি। এটুআই এটি ডিজিটাল করে দেবে। যারা ই কমার্স ব্যবসা করবে তাদের আবশ্যিকভাবে নিবন্ধন করতে হবে।

‘খুব শিগগিরই এটা আমরা খুলে দেব এবং এটা অনলাইনেই করা যাবে। আমরা আশা করছি, ১৫ দিন বা এক মাসের মধ্যে নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু করতে পারব। প্রধানমন্ত্রী যে অনুশাসন দিয়েছেন, আমরা মনে করি, ২ মাসের মধ্যেই ইউনিক আইডির বিষয়ে আমরা সারা পাব।’

এ সময় তিনটি গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে ই-কমার্স খাতের অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের একটি তালিকা পাওয়ার কথা জানিয়েছেন সফিকুজ্জামান।

তিনি বলেন, ‘অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকাটা বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে তালিকা পেয়েছি। তিন সংস্থা থেকে তিনটি সংখ্যার তালিকা পেয়েছি। একটি থেকে ১৯ টি, আরেকটি থেকে ১৭টি আর অন্য একটি থেকে ১৩টির তালিকা পেয়েছি।’

তালিকাগুলো কম্পাইল করে যে ইন্টেলিজেন্স ইউনিট আছে তা বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যানসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে পাঠিয়ে দেয়া হবে বলে জানান সফিকুজ্জামান।

তিনি বলেন, ‘এটি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন ব্যাংকে যে হিসাব তার তথ্য তারা আমাদের দেবে। যেহেতু আগামী ১১ তারিখ আমাদের রিপোর্ট দিতে হবে কেবিনেটে, আমরা ৯ তারিখে একটি মিটিং করব। সেখানে এই তথ্য যাচাইবাছাই করে আমরা কেবিনেটকে রিকোমেন্ড করব।’

তবে কোনো প্রতিষ্ঠানের নাম আপাতত বলেননি সফিকুজ্জামান। এই অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম আমরা আপাতত গোপন রাখতে চাচ্ছি। কারণ প্রতিষ্ঠানগুলো অভিযুক্ত না হলে তাদের ব্যবসার ওপর প্রভাব পড়বে। ইভ্যালি বা যেগুলো প্রচার হয়েছে সেগুলোর নাম এখানে আছে।’

দেশে ই-কমার্স খাত কীভাবে পরিচালনা করা যায়, নিবন্ধন গ্রহণের প্রক্রিয়া কেমন হবে এবং তাদের লাইসেন্স প্রাপ্তির পদ্ধতি বা যোগ্যতা কী হবে তা নির্ধারণে এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করেছ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

গত ১৮ অক্টোবর কমিটির প্রথম বৈঠক বসে। এতে এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংক, আইসিটি ডিভিশন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য, ই-ক্যাব সদস্যসহ ১৫টি মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, বিভাগ, সংস্থার ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

LEAVE A RESPONSE

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!