রাকিব আল হাসান, নিউসান টয়েন্টিফোর ডট কম:
সারা দেশের ন্যায় রাজবাড়ীর কালুখালীতেও করোনার প্রকোপ বেড়েই চলেছে। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে গত ৩০ তারিখের পরীক্ষিত নমুনায় ৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছেন। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে জ্বর-ঠান্ডার রোগীও বাড়ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স লক্ষন দেখা দিলে করোনা টেষ্ট করানোর কথা বললেও বেশিরভাগ মানুষ মানছেন না। সাধারণ জ্বর-ঠান্ডা হলে স্থানীয় ফার্মেসীতে গিয়ে চিকিৎসা নিতে দেখা দিয়েছে। তবে গ্রামের মানুষের মধ্যে বেক্সিমকো ফার্মার নাপা, নাপা এক্সট্রা ও নাপা একট্রেন্ড প্রচলিত থাকলেও উপজেলার কোনো ফার্মেসীতে পাওয়া যাচ্ছে না।
ঔষুধ ক্রেতা আব্দুর রহিম বুধবার (৩০ জুন) বলেন, আমি রতনদিয়া বাজারের কয়েকটি ফার্মেসীতে নাপা প্যারাটিমল ট্যাবলেট ক্রয় করতে যাই। কিন্তু কোনো ফার্মেসীতেই এটি পাওয়া যাচ্ছে না।
রতনদিয়া বাজারের হোসেন মেডিকেল হলের ফার্মাসিষ্ট মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, বিগত দিনের তুলনায় গত কয়েকদিন প্যারাসিটামল ও অ্যাজিথ্রোমাইসিন বিক্রি বেড়েছে। ব্যপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বেক্সিমকো ফার্মার নাপা প্যারাসিটামল সরবরাহ নেই। বেক্সিমকো ফার্মার বিক্রয় প্রতিনিধিদের কাছে অর্ডার দিলেও সরবরাহ নেই বলছেন।
সার্কেল মেডিকেল হলের ফার্মাসিষ্ট মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, নাপা প্যারাসিটামল ট্যাবলেট সাপ্লাই নেই তবে অন্য কোম্পানীর প্যারাসিটামল সাপ্লাই আছে। কিন্তু ক্রেতারা এসেই বলেন ন্যাপা প্যারাসিটামল ট্যাবলেট দিন।
উপজেলা কেমিষ্ট ও ড্রাগিষ্ট সমিতির নেতাদের সাথে হলে তারা বলেন, আমাদের কোনো ফার্মেসীতে নাপা প্যারাসিটামল ট্যাবলেট সরবরাহ নেই। কোনো ফার্মেসীতে অধিক মুনাফা লাভের আশায় স্টকও নেই। তবে আমরা আশা করছি বেক্সিমকো ফার্মার প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলেছি। তারা আমাদের জানিয়েছেন ঔষুধটি আমাদের আসলেই আমরা সরবরাহ করবো।