মাসুদ রেজা শিশির ॥
রাজবাড়ীর পাংশা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত পাংশা সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ৪ তলা ভিত বিশিষ্ঠ এক তলা একাডেমিক ভবন নির্মান কাজ চলছে। ৭৫ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ১ তলা ভবনের নির্মান কাজটি করছেন রাজবাড়ীর ঠিকাদার আব্দুর রহিম মোল্লা তিনি ফরিদপুর’র মের্সাস আনোয়ার হোসেন’র প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করে আসছিল আব্দুর রহিম মোল্লা হয়ে এ কাজ দেখভাল করছিল তার পালিত পুত্র জাহিদ হাসান। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের আদেশ প্রাপ্ত হয়ে এ উন্নয়ন কাজের দেখভাল করে আসছিল পাংশা উপজেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে কর্মরত উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ জাফর আলী।
গত ২৭ অক্টোবর বিকালে কাজের সাইডে নি¤œ মানের ইট,বালি,খোয়া নিয়ে আসে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এবং জোর র্প্বূক ওই নিম্ম মানের সামগ্রী দিয়ে ঢালাই কাজ করার জন্য পায়তারা করে ঠিকাদারের ছেলে জাহিদ হাসান ও তার লোকজন এ সময় উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ জাফর আলী নি¤œ মানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ কাজ না করার জন্য বললে ঠিকাদারের পালিত পুত্র জাহিদ হাসান তাকে বেধরক মারপিট করে এবং তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি ভাংচুর করে। জাফর আলীর চিৎকারে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক ও স্থানীয় লোকজন ছুটে আসলে ঠিকাদারের পালিত ছেলে জাহিদ হাসান পালিয়ে যায়। তখন খেকেই ওই ভবন নির্মান কাজ বন্ধ রয়েছে। স্থানীয়দের সহায়তায় উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাফর আলীকে পাংশা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় মোঃ জাফর আলী বাদী হয়ে জাহিদ হাসান সহ ৩ জনের নামে পাংশা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন মামলা নং-১৪ । প্রত্যক্ষদর্শী পাংশা সিদ্দিকিয়া মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপ্যাল মোঃ নুলে আলম বলেন ঠিকাদারের ছেলে নিম্ম মানের খোয়া ও বালি নিয়ে আসায় ইঞ্জিনিয়ার জাহিদ সাহেব এ খোয়া বালি পাল্টে দেওয়ার কথা বলায় তাকে মারধর করা হয়েছে। বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখজনক তিনি এ ঘটনার সুষ্ট বিচার দাবী করেন। পাশের একটি ভবনে কাজ করা একজন মিস্ত্রি জানান জাহিদ হাসান উগ্র মেজাজের লোক আগেও এখানে নিম্ম মানের সামগ্রী ব্যবহার করতে না পেরে অকথ্য ভাষায় ইঞ্জিয়ারসহ শিক্ষকদের গালিগালাজ করেছে, ঘটনার দিন জাফর সাহেবকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছিল জাহিদ।
পাংশা সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আওয়াবুল্লাহ ইব্রাহিম বলেন- নিম্ম মানের ইট বালি খোয়া দেওয়ার চেষ্ঠা কালে ইঞ্জিনিয়ার জাফর আলী তা বাধা দেওয়ার চেষ্ঠা করলে তাকে শারীরিক ভাবে প্রহার করেছে ঠিকাদারের পালক পুত্র জাহিদ সেই সাথে ইঞ্জিনিয়ারের মটর সাইকেল ভাংচুর করেছে। আমরা প্রতিষ্টানের স্বার্থে সব সময় আমাদের এই কাজের জন্য ৩-৪ জন শিক্ষক অবস্থান করি, প্রতিষ্ঠান ছুটির মধ্যেও আমাদের শিক্ষকগন এ কাজ দেখভাল করে চলছেন, ঠিকাদারের ছেলে জাহিদ যে কাজটি করেছে তা অত্যান্ত ন্যাকার জনক।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারের পুত্র জহিদ হাসানের সাথে কথা বলার চেষ্ঠা করা হলে তার ০১৩১০৪৮৮৬৬৭ নাম্বারে একাধীকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহাদাত হোসেন বলেন এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে মামলা নং-১৪ এ মামলার আসামীদের গ্রেফতারে জন্য অভিযান চলছে।
পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল চন্দ্র দাস বলেন এ ঘটনার পরপরই বিষটি আমি শুনেছি মামলা হয়েছে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মামলা হলেও এখন পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ জাফর আলীসহ স্থানীয়রা।