মাদক ও অবৈধ ওয়াকিটকি রাখার দায়ে সাংসদ হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদকে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে ছয় মাস ও অবৈধ মাদক রাখার দায়ে ছয় মাস করে মোট এক বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে দু’জনকে।
দুপুরে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে ইরফান সেলিমের বাসায় অভিযান শুরু করে র্যাব। অভিযানে ৩৮টি ওয়াকিটকি, পাঁচটি ভিপিএস সেট, অস্ত্রসহ একটি পিস্তল, একটি একনলা বন্দুক, একটি ব্রিফকেস, একটি হ্যান্ডকাফ, একটি ড্রোন এবং সাত বোতল বিদেশি মদ ও বিয়ার জব্দ করা হয়।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে এরফান সেলিম জানিয়েছেন, এসব ওয়াকিটকির মাধ্যমে তিনি তার বাসার আশপাশের পাঁচ থেকে ১২ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা নেতাকর্মী ও অনুসারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। ইরফান সেলিমের ভিপিএস সেটগুলোকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ডিটেক করতে পারত না। তার বাসার চার ও পাঁচতলার কন্ট্রোল রুম থেকে এসব উদ্ধার করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম সাংবাদিকদের জানান, ইরফান সেলিমের অস্ত্র দুটির কোনো লাইসেন্স ছিল না। এসব অস্ত্র ও হ্যান্ডকাফের বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। এগুলো দিয়ে তিনি সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখাতেন।
এর আগে হাজী সেলিমের ছেলেসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করেছেন মারধরের শিকার নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহম্মেদ খান। আজ সোমবার সকাল পৌনে আটটার দিকে মামলাটি করা হয়। ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) রবিউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে। আসামিরা হলেন- ইরফান সেলিম, এ বি সিদ্দিক দীপু, জাহিদ, গাড়িচালক মীজানুর রহমান ও অজ্ঞাতনামা আরও দুই থেকে তিনজন।
গতকাল রোববার রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি কলাবাগান সিগন্যালের পাশে হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তাকে মারধর করা হয়। ইতোমধ্যেই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে ওয়াসিম আহমেদকে রক্তাক্ত দেখা যায়।