অনলাইন ডেস্ক, নিউসান টয়েন্টিফোর ডট কম:
পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরো উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে।
তবে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) রাতে বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে রাজধানী সহ সারাদেশে ঝুম বৃষ্টি শুরু হয়। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টিও কমতে থাকে।
তবে আজ শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) সকাল থেকে কিছুটা কমে রাজধানীতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।
টানা বৃষ্টিতে রাজধানী ঢাকার অনেক অলিগলিতে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে নৌপথে বন্ধ রয়েছে ছোট আকৃতির নৌযান চলাচল।
রাজধানী ঢাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই তীব্র জলাবদ্ধতার কারণে দেখা দেয় দুর্ভোগ। শুক্রবার সকালে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে সড়কে যানবাহনের সংখ্যাও ছিলো নগণ্য।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, গভীর নিম্নচাপটি বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরো ঘনীভূত হয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতেও বলা হয়েছে।