পাংশায় আওয়ামীলীগের নেতাকে পিটিয়ে প্রতিষ্ঠানের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দিতে সাদা কাগজে স্বাক্ষর!
মাসুদ রেজা শিশির ॥ রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও গঙ্গানন্দদিয়া দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি শাহজাহান খান চাঁদকে প্রতিষ্ঠানের একটি কক্ষে আটকে রেখে মারধর করে সাদা কাগজে সই নিয়ে ফেলে চলে যায় এলাকার চিহ্নত একটি দল।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান দাখিল মাদ্রাসা সংলগ্ন মসজিদে একটি হেফজ খানা খোলা হয়েছে সেই হেফজ খানার জন্য মাদরাসায় একটি রুম দেওয়া প্রসঙ্গ নিয়ে মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে সেখানে কথাকাটাকাটি হয়। এর আগে শিক্ষকদের মাদ্রাসায় যেতে বাধা প্রদান করা হয় বলে জানান ওই মাদ্রাসার শিক্ষক মোঃ মোনতাজ আলী।
শিক্ষকদের মাদ্রাসায় যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে এমন সংবাদ শুনে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাবাসপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান খান চাঁদ সেখানে পৌছালে গঙ্গানন্দদিয়া গ্রামের বিল্লাল মন্ডল, আপেল মন্ডল, নাদের মন্ডল, জিয়ার মন্ডল, হাসান মাহমুদ, মেহেদী হাসান, সাপন মোল্লা, আমিরুল প্রামানিক, খায়রুল ইসলাম, হেলাল মন্ডল,স্বপন খাসহ বেশ কয়েকজন মাদ্রাসার একটি কক্ষে শাহজাহান খান চাঁদকে আটকে মারধর করে সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়ে অজ্ঞান অবস্থায় সেখানে ফেলে চলে যায় বলেন স্থানীয় একধীক লোক ও ওই মাদ্রাসার শিক্ষক মোন্তাজ আলী জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ওই মাদ্রাসার সুপার মোঃ সবুর হোসেন বলেন আমি এই প্রতিষ্ঠানে সবে মাত্র যোগদান করেছি এখানে তাদের রাজনৈতিক বিরোধের কারণেই এ রুপ ঘটনা ঘটেছে তবে আমি এলাকায় নতুন হওয়ায় তেমন কারো নাম জানিনা। বর্তমানে শাহজাহান খান চাঁদ’র অবস্থা আংস্কা জনক। তাকে প্রথমে পাংশা সরকারী হাসপাতালে নেওয়া হয়, এসংবাদ লেখাকালিন এখনও শাহজাহান খান চাদের জ্ঞ্যান ফেরেনি বলে জানিয়েছেন তার স্বজনেরা। অবস্থা আংস্কা জনক হওয়ায় রাতেই ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় পাংশা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ডা.এ এফ এম শফিউদ্দিন পাতাসহ আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ তাকে পাংশা হাসপাতালে দেখতে জান। হাবাসপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও গঙ্গানন্দদিয়া দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি শাহজাহান খান চাঁদ হাবাসপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দির্ঘ ৩২ বছর ধরে সভাপতির দায়িত্ব পালন করা মরহুম মোঃ জিন্না আলী খানের ছেলে। তবে এখন পর্যন্তুৃ কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি বলে থানা সুত্রে জানাগেছে।