Newsun24

Most Popular Newsportal

জাতীয় স্বাস্থ্য

করোনায় বাংলাদেশ অনেকটাই নিরাপদ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশে এখন করোনা অনেকটাই নিরাপদ বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সঠিক দিক নির্দেশনা ও দেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টার ফলেই।

তিনি বলেন, গত মার্চ মাসে করোনা যখন দেশে প্রথম চলে আসে তখন মানুষ নানা রকমের জল্পনা-কল্পনা শুরু করতে থাকে। তখন বলা হতো, বাংলাদেশে মানুষের লাশ রাস্তায় পড়ে থাকবে।

অথচ বাংলাদেশে কোভিডে আক্রান্ত বিবেচনায় মৃত্যু হার বিশ্বের সবচেয়ে কম দেশের কাতারেই রয়েছে।

রোববার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর শিশু হাসপাতালে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এ সময় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করেন তিনি।

জাহিদ মালেক বলেন, আজকের প্রতিটি সুস্থ শিশুই আগামী দিনের উজ্জ্বল বাংলাদেশের কাণ্ডারি হবে। আজকের শিশুকে টিকা দিলে সেই সন্তান ভবিষ্যতের সুস্থ ও মেধাবী সন্তান হবে। এই সন্তান ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে। একইভাবে এই টিকা না দেয়া হলে সন্তান নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে। সন্তান হাবা-গোবা বা বেঁটেও হতে পারে।

তিনি বলেন, একটি রোগাক্রান্ত সন্তান পরিবারের জন্য অনেক কষ্টের কারণ। তাই দেশে একটি শিশুও যেন রোগাক্রান্ত হয়ে না জন্মায়, সেদিকে সরকার যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করছে তা আমাদের সবাইকে বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রতিটি এলাকার মায়েদের টিকাদান কেন্দ্রে পাঠাতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো জানান, আজ ৪ অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশের সব ইপিআই টিকাদান কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মায়েদের উদ্দেশ্যে বলেন, শিশুর জন্মের পর প্রতিটি মাকে এক ঘণ্টার মধ্যে শাল দুধ খাওয়াতে হবে। জন্মের ৬ মাস পর্যন্ত কেবল মায়ের বুকের দুধই খাওয়াতে হবে। শিশুর বয়স ৬ মাস পার হলে তখন মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুকে অন্যান্য খাবার দিতে হবে।

প্রসঙ্গত, টিকাদান ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে দেশের ৬ মাস থেকে ১ বছরের কম বয়সী প্রায় ২৭ লাখ শিশুকে নীল রঙের একটি করে ভিটামিন এ ক্যাপসুল এবং ১ বছর থেকে ৫ বছর বয়সী প্রায় এক কোটি ৯৩ লাখ শিশুকে লাল রঙের একটি করে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। প্রায় এক লাখ ২০ হাজার স্থায়ী ইপিআই টিকাদান কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

সভায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তফা কামাল সভাপতিত্ব করেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির সভাপতি প্রফেসর শহীদুল্লাহ সহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

LEAVE A RESPONSE

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!