Newsun24

Most Popular Newsportal

জাতীয়

মসজিদে বিস্ফোরণ: নিহত বেড়ে ২৩

নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত বেড়ে ২৩ জনে দাড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও দুই শিশুও রয়েছে।

শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।

রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শংকর পাল এ কথা জানান।

তিনি বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনায় শামীম (৪৫) ও জুলহাস নামে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩ জনে দাঁড়িয়েছে।

এছাড়া বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছেন- মসজিদের ইমাম আবদুল মালেক (৬০), মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৮) ও তার ছেলে জুনায়েদ (১৭), দুই ভাই জোবায়ের (১৮) ও সাব্বির (২১), মুন্সিগঞ্জের কুদ্দুস ব্যাপারী (৭২), চাঁদপুরের মোস্তফা কামাল (৩৪), পটুয়াখালীর গার্মেন্টস কর্মী রাশেদ (৩০), নারায়ণগঞ্জের হুমায়ুন কবির (৭২), পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর জামাল আবেদিন (৪০), গার্মেন্টস কর্মী ইব্রাহিম বিশ্বাস (৪৩), নারায়ণগঞ্জের কলেজ শিক্ষার্থী মো. রিফাত (১৮), চাঁদপুরের মাইনুউদ্দিন (১২), ফতুল্লার জয়নাল (৩৮), লালমনিরহাটের গার্মেন্টসকর্মী নয়ন (২৭), নিজাম (৩৪), নারায়ণগঞ্জের রাসেল (৩৪), খুলনার কাঞ্চন হাওলাদার (৫০), শিশু জুবায়ের (৭), বাহার উদ্দিন (৫৫), নাদিম (৪৫), শামীম (৪৫) ও জুলহাস। মারা যাওয়া ব্যক্তিরা তল্লা এলাকার বাসিন্দা।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে এশার নামাজের সময় তল্লায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ৪০ জনের বেশি মুসল্লি আহত হন।

এর মধ্যে দগ্ধ ৩৭ জনকে গুরুতর অবস্থায় শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

ওই বিস্ফোরণে মসজিদের মোট ছয়টি এসি পুড়ে গেছে। জানালার কাচ উড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আধা ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

মসজিদের নিচ দিয়ে যাওয়া তিতাস গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে এ বিস্ফোরণ হতে পারে বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস। বিষয়টি তদন্তে জেলা প্রশাসন ও তিতাস কর্তৃপক্ষ কয়েকটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

LEAVE A RESPONSE

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!