স্টাফ রিপোর্টার, নিউসান টয়েন্টিফোর ডটকম:
রাজবাড়ীর কালুখালীতে ১ জুলাই বেলা ১১ টায় উপজেলা প্রেসক্লাবে অপহরণকৃত মেয়েকে খুঁজে পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন অপহৃত মেয়ের বাবা মোঃ হুমায়ুন কবির।
এর আগে গত ২৮ জুন কালুখালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা রজু হয়। মামলা সূত্রে জানাযায় গত ২০ জুন উপজেলার মৃগী ইউপির শিকজান গ্রামের মোঃ হুমায়ুন কবির এর মেয়ে শিকজান নিয়ামতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী রাফিয়া আক্তার (১৬) খাতা কলম ক্রয় করতে স্থানীয় মৃগী বাজারে যায়। বিকেল ০৫ টার দিকে বাজার থেকে ফিরে আসার পথে একটি সাদা মাইক্রো গাড়ীতে করে একই গ্রামের আলাউদ্দিন মন্ডলের পুত্র পল্লব মন্ডল (২০), মৃত আমজাদ সরদার এর পুত্র নূরে আলম সিদ্দিকী হক (৫০), মোঃ শামচেল মন্ডলের পুত্র নুরুল ইসলাম মন্ডল (৪৫), খাতের মন্ডল (৫০), সোবাহান মন্ডল (৬০) শালমারা গ্রামের মৃত হাফিজ ফকির এর পুত্র টিটো ফকির এর নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অপহৃত মেয়ের বাবা অভিযোগ করেন, ১নং আসামী পল্লব মন্ডল (২০) বেশ কিছুদিন আমার মেয়েকে উত্যক্ত করে আসছিল। পল্লবের পিতার কাছে অভিযোগ করলে আমার উপর রাগান্বিত হয়ে নূরে আলম সিদ্দিকী হক এর সহযোগীতায় তারা আমার মেয়েকে অপহরণ করেছে। বিভিন্ন যায়গায় তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা না স্বীকার করে। কিন্তু আমার দৃঢ় বিশ^াস উক্ত ব্যক্তিদের নিকট আমার মেয়ে আছে।
তিনি বলেন আমি গত উপজেলা নির্বাচনে ২বার নূরে আলম সিদ্দিকী হকের নির্বাচন করেছি। সব সময় তার সাথে থেকেছি আজ সে আমার এতবড় ক্ষতি করবে কোনোদিন কল্পনাও করিনি।
মৃগী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বদর উদ্দিন সরদার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নূরে আলম সিদ্দিকী হক সব সময় এলাকায় এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। তিনি থাকেন ঢাকাতে জ্জ মাস পর পর এসে একেকটা ঝামেলা সৃষ্টি করে আবার ঢাকায় ফিরে যান। এই ঘটনায় তাকে অতিদ্রæত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী জানাচ্ছি।
আমি মামলা করেছি আজ আপনাদের মাধ্যমে আমি আমার মেয়েকে খুঁজে পেতে সহযোগীতা কামনা করছি। আপনারা বিভিন্ন মিডিয়াতে সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে আমার মেয়েকে খুঁজে পেতে সহযোগীতা করুন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মৃগী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বদর উদ্দিন সরদার, সাবেক ইউপি সদস্য উরমান মন্ডল এছাড়াও মৃগী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।