কালুখালীতে করোনা মোকাবেলায় নিরলসভাবে কাজ করছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ খোন্দকার মুহাম্মদ আবু জালাল
রাকিব আল হাসান, নিউসান টয়েন্টিফোর ডট কম:
রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলায় মহামারী করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় প্রথম সারীর যোদ্ধা হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করছেন কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ খোন্দকার মুহাম্মদ আবু জালাল।
এর আগে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভিডিও কনফারেন্সে কালুখালী ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালকে কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করার অনুমতি নেন।
এর পর থেকে জেলার পাংশা, কালুখালী, গোয়ালন্দ থেকে বিভিন্ন করোনা আক্রান্ত রোগী এ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ কার্যালয় হতে সাক্ষাৎকালে তিনি জানান, এ হাসপাতালে আজ পর্যন্ত ১৫ জন করোনা রোগী ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগী ০৬ জন এবং রোগীদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তি ০৯ জনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সম্পন্ন শেষে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন। গতকাল গোয়ালন্দ থেকে ৮জন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি ভর্তি হয়েছেন। তাদের আইসোলশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও কালুখালী উপজেলায় ৪২২ জনের নমুনা সংগ্রহে প্রাপ্ত রিপোর্টে মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ৪ জন। বর্তমানে ৩ জন করোনা রোগী হোম আইসোলশনে থেকে আমাদের ডাক্তারদের পরামর্শে চিকিৎসা নিচ্ছেন। রোগীদের সেবায় আমাদের ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীরা রাত দিন পরিশ্রম করছেন।
বিশেষ করে রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম এর সুযোগ্য পুত্র জেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম সদস্য আশিক মাহমুদ মিতুল প্রথম থেকেই আমাদের সার্বিক সহযোগীতা করছেন। তিনি আমাদের পিপিই, মাস্ক, গগলস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ড গøাভস এবং রোগীদের ঔষুধ সহ সকল ধরনের সহযোগীতা করছেন।
এছাড়াও রাজবাড়ী সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নুরুল ইসলাম স্যার সার্বক্ষণিক আমাদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন এবং রোগীদের চিকিৎসার ব্যপারে পরামর্শ প্রদান করছেন।
সেই সাথে তিনি আরও বলেন করোনায় ভয় নয়, সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। কেউ আক্রান্ত হলে মনোবল হারানো যাবে না। সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনা করতে হবে। বাড়ীর বাহিরে গেলে মাস্ক পড়তে হবে এবং বিশেষ করে সরকার ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।