Newsun24

Most Popular Newsportal

রাজনীতি

সোয়া দুইশ সাংসদই নিষ্ক্রিয়

অনলাইন ডেস্ক, নিউসান টয়েন্টিফোর ডট কম:

করোনাভাইরাস দুর্যোগে দলের নেতাদের পাশাপাশি সব সংসদ সদস্যকে (এমপি) অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন সংসদ নেতা, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তার এ নির্দেশ দলের ১২০ জন এমপি পালন করেছেন বলে প্রধানমন্ত্রীর হাতে তথ্য এসেছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সরকারপ্রধান শেখ হাসিনাকে এ তথ্য জানিয়েছে সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থা। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো সাংসদের বেশিরভাগই কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে মনোনয়ন পাওয়া। এছাড়া সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা ও দুই-তিনবার নির্বাচিত কয়েকজন সাংসদও স্থানীয় জনগণের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

সংস্থাটির দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমান সংসদে সব রাজনৈতিক দল ও সংরক্ষিত নারী মিলিয়ে ৩৫০ সদস্য রয়েছেন। তাদের মধ্যে ২২৫ সাংসদই স্থানীয়দের পাশে দাঁড়াননি। করেনাকালীন এ সময়ে তারা নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। বাকি ১২৫ সাংসদ নিজ নিজ এলাকার জনগণের পাশে থেকে কাজ করছেন। তাদের মধ্যে ১২০ জন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের। অন্যান্য দলের মাত্র পাঁচজন সাংসদ দাঁড়িয়েছেন মানুষের পাশে। সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনসহ আওয়ামী লীগের সদস্য রয়েছেন ২৯৬ জন। তাদের মধ্যে এ দুর্যোগে মাঠে সক্রিয় মাত্র ১২০ জন।

একাদশ সংসদে ৩৫০ সাংসদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সদস্য ২৫৩ জন। আর দলটির সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য রয়েছে ৪৩ জন। জাতীয় পার্টির সদস্য আছেন ২২ জন। আর দলটির সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য চারজন। বিএনপির একজন সংরক্ষিতসহ রয়েছে সাতজন সদস্য। ওয়ার্কার্স পার্টির সাংসদ তিনজন আর সংরক্ষিত নারী সাংসদ একজন। জাসদ, বিকল্পধারা ও গণফোরামের দুজন করে এবং তরীকত ফেডারেশন ও জাতীয় পার্টির (জেপি) একজন করে সদস্য রয়েছেন। এছাড়া একজন সংরক্ষিতসহ স্বতন্ত্র সাংসদ আছেন তিনজন।

নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও দলের বেশিরভাগ সাংসদ এ দুর্যোগে নির্বাচনী এলাকার জনগণের পাশে না থাকায় সংসদ নেতা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নাখোশ বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা  বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেওয়া ওই প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সব দল মিলিয়ে ২২৫ সংসদ সদস্য নিজ এলাকার জনগণের পাশে নেই। তাদের মধ্যে সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচিত বেশিরভাগ সাংসদই জনসেবামূলক কাজে নেই। সরাসরি নির্বাচন করে নৌকা নিয়ে বিজয়ী ১৯ নারী সাংসদও এ দুর্যোগে মাঠে নেই বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এছাড়া অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা যারা আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তাদের প্রায় সবাই নিষ্ক্রিয় বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ব্যবসায়ী সাংসদের কর্মকাণ্ডও হতাশাজনক দেখা গেছে প্রতিবেদনে।

তিনি আরও বলেন, মন্ত্রিসভার সদস্যরাও তেমন সক্রিয় নয়। দুজন মন্ত্রী ও এক প্রতিমন্ত্রী মাঠে পুরো সক্রিয়। এছাড়া জাতীয় পার্টির ২২ সাংসদের মধ্যে উত্তরবঙ্গে কয়েকজন মাঠে রয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের শরিক ১৪ দলীয় জোটের দুই-তিনজন না থাকার মতো করে মাঠে আছেন। বিএনপিসহ অন্য রাজনৈতিক দলের একজন সাংসদও মাঠে নেই বলে প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

করোনাকালীন সময়ে ক্ষমতাসীন দলের কোনো কোনো সাংসদ একবারও নিজ এলাকায় যাননি বলেও ওই গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে কয়েকজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছুটা প্রচার চালিয়েছেন বলে বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ এক সাংসদ  বলেন, ‘একটি সংস্থার প্রতিবেদনের কথা কিছুটা জানাজানি হওয়ার পর দলের কিছু নতুন সংসদ সদস্য গত সপ্তাহ থেকে এলাকায় যাতায়াত করা শুরু করেছেন। মন্ত্রীদের মধ্যেও অনেকের এলাকায় যাওয়া-আসা নেই। ঢাকায় বসে আছেন নিজের বাসায়। ব্যক্তিগত উদ্যোগে তেমন ত্রাণ তৎপরতা নেই মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদেরও।’

LEAVE A RESPONSE

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!